নিজের স্মার্ট ফোন হারানোর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সাথে শমী কায়সারের আচরণ নিয়ে গত দুদিন ধরেই অনলাইন, অফলাইনে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। তার দুর্ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো। এবার শমীর আচরণে তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্ট ফোরাম।
শমী কায়সারের প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ওমেন জার্নালিস্ট ফোরামের অফিশিয়াল ফেসবুক থেকে শুক্রবার সকালে জানানো হয়: বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্টস ফোরাম শমী কায়সারের অশালীন আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং চরিত্রহীন বলার অপরাধে কারো যদি জেল হয় চোর বলার অপরাধের শাস্তি কী হতে পারে তা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিক নেতাদের অভিমত দেবার আহ্বান জানাচ্ছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার শমী কায়সারকে সাংবাদিকদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এছাড়াও শমী কায়সারকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
২৪ এপ্রিল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বুধবার দুপুরে ই-কমার্সভিত্তিক একটি পর্যটন সাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন শমী। বর্তমানে তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই- ক্যাব) সভাপতি এবং এফবিসিসিআই পরিচালক। সেখানে বক্তব্য শেষে কেক কাটার সময় তার দুটি স্মার্টফোন গায়েব হয়ে যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ শমী মিলনায়তনের মূল দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রায় অর্ধশত সাংবাদিককে তল্লাশীও করতে বলা হয়।
এমন ঘটনায় উপস্থিত সাংবাদিকরা হতবাক হয়ে যান। শুধু তাই নয়, সেসময় শমীর নিরাপত্তারক্ষীরা একাধিক সাংবাদিকের ব্যাগ তল্লাশি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে ফুটেজ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, যে প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে শমী সেখানে গিয়েছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীদের একজন ফোন দুটি চুরি করেছে।