দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৭২৮তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭১ জন।
এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৬৮ জন। শনাক্তের হার দুই দশমিক ১১ শতাংশ। আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হয়েছিল ৬০৪ জন।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৭ হাজার ৪৬৩টি পরীক্ষায় ৩৬৮ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দুই দশমিক ১১ শতাংশ।তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৯০ লাখ নয় হাজার ১০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৪টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৩৫ লাখ ছয় হাজার ৮০৯টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৭ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৮ জনসহ মোট ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। তাদের হাসপাতালে (সরকারি ১২, বেসরকারি এক) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৭ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে ২৪ হাজার ৬৫০ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে তিন হাজার ৬১০ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। বাসায় ৭৮২ জন মারা গিয়েছে, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৬৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে ৩৫ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৬০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৫১৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন, সত্তরঊর্ধ্ব দু’জন ও আশিঊর্ধ্ব দু’জন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে দু’জন, রংপুর বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৪ কোটি ৪২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ লাখ ১১ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৭ কোটি ৭১ লাখের বেশি।