চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাভাইরাস: শনাক্তের সংখ্যা হাজারের নীচে

দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের ৩০০তম দিনে শনাক্তের সংখ্যা ৯৯০ জন হয়েছে। এ সময় মারা গেছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৯৭ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন করে ১২ হাজার ৭৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) করা হয়েছে ১২ হাজার ১০৩টি নমুনা। সরকারী ব্যবস্থাপনায় ২৫ লাখ ৬৭ হাজার ০৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, অন্যদিকে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৪টি পরীক্ষা করা হয়েছে।

এ নিয়ে দেশে মোট ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ৭০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন করে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৯৯০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত শনাক্ত ৫ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

নতুন করে মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও নারী ৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন ও রংপুর বিভাগে ১ জন রয়েছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নতুন করে করোনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব ১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১২ জন রয়েছেন।

মৃতদের ১৬ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৫ হাজার ৭৬৪ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৬ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং ১ হাজার ৮১২ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।

তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৯৭ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৩৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫ কোটি ৯৪ লাখের বেশি।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল।

দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরেক দফায় ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।