ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের (বিএ) প্রতি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ওই টুইটের প্রতি উত্তরে বিমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে। টুইটারে ৮৪ লাখ অনুসারির কাছে পূজনীয় শচীনের নাম-ঠিকানা জানতে চাওয়া চরম ধৃষ্টতার শামিল।
বিমান পরিবহনের সেবা নিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হন শচীন। তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য আসন পায়নি এবং তার ব্যাগও হারিয়ে যায়। এমন বিরক্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে শচীন টুইটারে লেখেন, রাগান্বিত, হতাশ। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের (বিএ) সেবা ভালো নয় এমন ট্যাগ ব্যবহার করে শচীন লেখেন পর্যাপ্ত আসন থাকার পরও পরিবারের সদস্যদের অপেক্ষমান টিকেট নিশ্চিত করা হয়নি।
অন্য এক টুইটে তিনি লিখেন, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ট্যাগ করা আমার লাগেজও ভুল ঠিকানায় চলে গেছে। তাদের আচরণও সহযোগিতাপূর্ণ নয়। কখনও বিএ’তে নয় এমন ট্যাগ করেন শচীন।
শচীনের এমন ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার জবাবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়, শচীন, কথাটা শুনে আমরা দুঃখিত। এই বিষয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শচীনের পুরো নাম এবং ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টুইটারে শচীনের অনুসারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে ভারতের জনপ্রিয় লেখক, কলামিস্ট এবং মটিভেশনাল স্পিকার চেতান ভগত পরিহাস করে লিখেন, মনে হচ্ছে ১০০ বছরের দখলদারিত্বের জন্য ভারতীয়রা ব্রিটেনকে ক্ষমা করে দিলেও শচীনের পুরো নাম জিজ্ঞেস করার অপরাধ কখনোই ক্ষমা করবে না।
গত বছর টেনিস সুপারস্টার মারিয়া শারাপোভা শচীন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই এমন বক্তব্য দিয়ে শচীনের ভক্তদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ‘মারিয়া শারাপোভা কে’ টপ ট্রেন্ডেড হয়ে যায়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সাম্প্রতিক ঘটনাটিও সে পথেই যাচ্ছে।