শক্তিমান চাকমাসহ ৬ জনকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরো জোরদার করাসহ স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দাবিতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নাগরিক সমাজ।
রোববার সকালে সচেতন নাগরিক সমাজের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল রাঙ্গামাটি শহরের পৌর চত্বর থেকে শুরু হয়ে নিউ মার্কেট চত্বরে গিয়ে সমাবেশে করে।
সন্ত্রাসবিরোধী এ বিক্ষোভে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী, পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ নানা পেশার সাধারণ মানুষ যোগ দেয়।
রাঙ্গামাটিতে সন্ত্রাসীদের খুন, অস্ত্রবাজি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক সমাজ আয়োজিত এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা দীপংকর তালুকদার, মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীরা প্রতিনিয়ত খুন, অপহরণ, চাদাঁবাজি করে পাহাড়কে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। অবৈধ অস্ত্রধারীরা নিজেরাই এখন মারামারি করছে। এদের সন্ত্রাসের কাছে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কারো জীবন কারো নিরাপদ নয়।
তিনি পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান আরো জোরদার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্বারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয় রূপম চাকমা।
৩ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরের দিন ৪ মে শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য থেকে ফেরার পথে গাড়ি লক্ষ্য করে আবার গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে ইউপিডিএফের একাংশের নেতা তপন বর্মাসহ নিহত হয় ৫ জন। গুলিবিদ্ধ হয় আরো ৯ জন।