দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে সাদা পোশাকে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেও রঙিন পোশাকে লড়াইয়ের বার্তাই দিয়েছে চান্ডিকা হাতুরুসিংহের শিষ্যরা।
তিন ওয়ানডের তিনটিতেই তিনশ’র বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে হয় শ্রীলঙ্কাকে। প্রথম ম্যাচে ৩৭৮ রানের জবাবে হেরেছিল ৪৩ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩২০ রানের টার্গেটে হার ২১ রানের। তবে তৃতীয় ম্যাচে ৩৬৫ রানের জবাবে দারুণ শুরুর পরও হেরেছে ১১৫ রানে।
হারলেও বিদেশে, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এমন পারফরম্যান্স সামনের সিরিজগুলোতে লড়াই করার আত্মবিশ্বাসই জোগাবে লঙ্কানদের।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো করতে না পারলেও শেষটা দুর্দান্ত করে নিউজিল্যান্ড। ৩১ রানে দুই উইকেট হারানোর পর বাকি ব্যাটসম্যানরা খেলেন মারকাটারি সব ইনিংস। জোড়া সেঞ্চুরি এসেছে কিউই ইনিংসে।
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৫৫ রানে আউট হওয়ার পর সেঞ্চুরি করেন রস টেলর ও হেনরি নিকোলস। ১৩১ বলে ৯টি চার ও চার ছক্কায় টেলর ১৩৭ রানের একটু ধীর ইনিংস খেললেও ৮০ বলে ১২৪ রানে টর্নেডো ইনিংস খেলেন নিকোলস। ১৫৫ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা নিকোলস তিন ছক্কার সঙ্গে চার মেরেছেন ১২টি।
নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ৩৬৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকদের আউট হওয়া চার উইকেটের তিনটিই নেন লাসিথ মালিঙ্গা। অপর উইকেটটি নেন সান্দাকান।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতে ৬৬ রান তোলার পর ১৫ ওভারের আগেই স্কোর বোর্ড তিনঅঙ্ক স্পর্শ করে। কিন্তু মিডলঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান দ্রুত আউট হলে রানের চাকা স্লো হয়ে যায়।
গুনাথিকালাকে সঙ্গে নিয়ে এদিনও ঝড় তুলেছিলেন আগের ম্যাচে ১৪০ রান করা থিসারা পেরেরা। ৬৩ বলে ৮০ রান করে তিনি ফেরার পর বাকিদের ব্যাগ গোছাতে আর দেরি হয়নি। ১৪ বলের ব্যবধানে স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতেই পাঁচ ব্যাটসম্যান আউট হয় সফরকারীদের। ম্যাচ হারে ১১৫ রানে।
কিউইদের হয়ে ৪০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সফল বোলার ফার্গুসন। তিন উইকেট নেন স্পিনার ইশ সোধি। একটি করে উইকেট নেন সাউদি ও নিশাম।
এই সফরে দুদলের একমাত্র টি-টুয়েন্টি ম্যাচটি হবে আগামী ১১ জানুয়ারি, অকল্যান্ডে।