করোনাকালে অনলাইন ক্লাসে যোগদানের সুবিধার্থে ল্যাপটপ ও স্মার্ট ফোন কিনতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
ল্যাপটপ ক্রয়ের জন্য শিক্ষকরা মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা এবং স্মার্ট ফোন কেনার জন্য প্রতি ডিসিপ্লিন থেকে ১৪ জন করে দরিদ্র মোট ৪০৬ জন শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা করে ঋণ পাওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
শিক্ষকরা এই ঋণ ২৫ কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা পাবেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার মধ্যে কিস্তিতে অথবা এককালীন পরিশোধের সুযোগ থাকছে।
ইতিমধ্যে শিক্ষকদের ঋণের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী দীর্ঘায়িত হওয়ার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে ক্লাস নিতে হচ্ছে। কিন্তু প্রান্তিক অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে যোগদানে ব্যর্থ হচ্ছে ডিভাইসের অভাবে। পরিপূর্ণভাবে না হলেও আমরা যথা সাধ্য চেষ্টা করছি তাদেরকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে সাহায্য করার।
এছাড়া সাশ্রয়ী মূল্যে ডাটা প্যাকেজ পেতে ভাল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সম্বলিত সিম অপারেটর কোম্পানিগুলোর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা করবে বলে জানান তিনি।
দেশের অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও জুলাই মাস থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে শতভাগ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে।