ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ওজোপাডিকোর আওতায় খুলনা-বরিশাল বিভাগ ও পদ্মা পাড়ের কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা।
সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না হওয়ায় লোকসানী কোম্পানি হওয়ার আশংকায় রয়েছে ওজোপাডিকোর।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সেবার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে গঠিত হয় ওজোপাডিকো। কিন্তু বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে খুলনার আট লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সেবা কার্যক্রম।
খুলনা ওজোপাডিকো উপ-মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) রবীন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, এখানে সর্বোমোট বিদ্যৎ বকেয়ার পরিমাণ তিনশ’ ৪৯ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এটা আমাদের ২.৮২ মাসের গড় বিলের সমান।
তিনি আরো বলেন, এই বকেয়া বিলের মধ্যে সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া আছে ২৯ কোটি টাকা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া একশ এক কোটি ৭১ লক্ষ টাকা। আর বেসরকারী বকেয়ার পরিমাণ একশত ১৯ কোটি টাকা।
কৌশলগত কারণেই সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ অন্যান্য সরকারী অফিসগুলোর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ওজপাডিকোর কর্মকর্তারা।
খুলনার ওজোপাডিকো ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: শফিক উদ্দিন বলেন, টাকাগুলো আদায় করতে না পারার কারণে উন্নয়ন স্বাভাবিক ভাবেই ব্যহত হচ্ছে। ঐ টাকাগুলো পেলে আমরা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে পারতাম।
তবে, পর্যায়ক্রমে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন খুলনার সিটি মেয়র।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেন, প্রতিমাসে যে ১৬-১৭ লক্ষ টাকা বিল আসে সেই বিলের সাতে আমরা যদি আরো কিছু টাকা দিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা বিল দেয়। প্রতিমাসে আমরা এইভাবেই বিল দিয়ে আসছি।
গত ৯ বছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আন্তঃমন্ত্রণালয় ভিত্তিতে আদায়ের উদ্যোগের কথা জানান কোম্পানির কর্মকর্তা। আর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ মেলাসহ তিন দিনের নানা কর্মসূচীর উদ্যোগ নিয়েছে।