নির্বাচনী মৌসুমের সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় বাক্য হচ্ছে ‘লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড’। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, প্রশাসনসহ সকলেই এই বাক্য আওড়ে যাচ্ছেন। ব্যবহার সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক অর্থে সকলের জন্যে সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবিতে এই কথাগুলো বলা হচ্ছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকে এই কথাগুলো জপ করছিল সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ অপরাপর দলগুলো। তারা এখনও বলে যাচ্ছে। এবং তাদের এই দাবিটাও প্রাসঙ্গিক কারণ দলীয় সরকারের অধীনে এবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে যেখানে দাবি আদায় বিষয়ক ব্যাপারের উপস্থিতি থাকাটা স্বাভাবিক। তবে নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে তাদের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছে সরকারি দল আওয়ামী লীগও। তাদেরও দাবি একই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
নির্বাচনের জন্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই এমন অভিযোগ বিএনপির দীর্ঘদিনের। তফসিলের পর এমনকি মাঠে সেনাবাহিনী নামার পরও এই অভিযোগ চলছে সমানে। ইত্যবসরে বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারি দল আওয়ামী লীগ কর্তৃক হামলার শিকার ও পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। এই অভিযোগগুলোর অধিকাংশই ঢালাও হলেও এর মধ্যে সত্যতা আছে কিছুটা। গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে যত হামলার ঘটনা, গ্রেপ্তারের খবর আসছে তার অধিকাংশই বিএনপির নেতাকর্মীর, এটা সত্য। যদিও এই গ্রেপ্তারগুলোর পর পুলিশ বলছে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের নাশকতামূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সেগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে পুলিশ। ফলে বিএনপি যতই অভিযোগ করুক না কেন পুলিশের সকল গ্রেপ্তার মূলত নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নথিভুক্ত হচ্ছে।
এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিএনপি অভিযোগ করছে, কিন্তু পুলিশ তাদের কার্যক্রমের স্বপক্ষে দেখাতে পারছে পূর্বতন মামলা। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই গ্রেপ্তারি কার্যক্রম মনে হলেও কাগজেকলমে এর যৌক্তিকতাও থেকে যাচ্ছে। যদিও এর মাধ্যমে সরকারি দল আওয়ামী লীগ লাভবান হচ্ছে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন এর বিরুদ্ধেও যেতে পারছে না, কারণ সে রকম কোন নির্দেশনা দিলে সেটা আইনি পদক্ষেপেরই বিরোধিতা হয়ে যাবে।
বিএনপির এই অবস্থা নির্বাচনের আগে তাদের সাংগঠনিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে দিচ্ছে, যার প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়েছে তাদের প্রচার-প্রচারণায়। নির্বাচনের আগে তাদের অনেক নেতাকর্মীই এলাকাছাড়া। গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকাছাড়া হওয়ার এই পরিণতি তাদের মূলত ভুল রাজনীতির ফল। দশম সংসদ নির্বাচনকে প্রতিহত করতে গিয়ে তারা দেশব্যাপী যে নাশকতা চালিয়েছিল, সাধারণ মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল সে ঘটনার ফল ভোগ করছে তারা এখন।
দশম সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল না, বিএনপিসহ অধিকাংশ দল সে নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এবারের নির্বাচনে আবার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সবকটি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। অংশ নিচ্ছে ইসিতে নিবন্ধন হারানো পাকিস্তানপন্থী দল জামায়াতে ইসলামিও। জামায়াতের নির্বাচনে এই অংশগ্রহণ মূলত বিএনপির ঘাড়ে সওয়ার হয়ে, বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে। বিএনপি যদি স্বাধীনতাবিরোধী এই দলকে সুযোগ না দিত তবে এবারই দলটির রাজনৈতিক কবর হয়ে যেত। কিন্তু জামায়াতের দুর্দিনে তাদের আদর্শিক মিত্র বিএনপি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দলের অনেক নেতাকে বঞ্চিত করে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিয়েছে জামায়াত নেতাদের হাতে। এর বাইরে এবার বিএনপি তাদের মনোনয়ন তালিকায় স্থান দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সহ দলটির প্রধান মিত্র বিশ দলীয় জোট নেতাদের। এই তালিকায় যেমন রাজনীতিবিদ আছেন ঠিক তেমনি আছেন জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক, যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যসহ অনেকেই। এদের অনেকেই আবার বিভিন্ন মামলার আসামিও।
পুলিশের খাতায় যারা আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এসব কারণে পুলিশি যত গ্রেপ্তারের খবর আসছে গণমাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় দেখা যাচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী। ২০১৩-১৪ সালের নাশকতা, পেট্টোলবোমাসহ নানা ঘটনার আসামি হিসেবে পুলিশ এখন স্বাভাবিকভাবেই ধরছে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের। এতে করে বিএনপি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার সুযোগ পাচ্ছে, আর ওদিকে পুলিশও বলতে পারছে এসব মামলা নতুন দায়ের কোনো মামলা নয়, একই সঙ্গে ইসিও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিংবা এই গ্রেপ্তারের রাশ টানতে পারছে না। ফলে একতরফাভাবে এখানে ক্ষতিগ্রস্ত দলটির নাম বিএনপি।
নির্বাচনের জন্যে দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই- বিএনপির এই দাবি মূলত তাদের নেতা-কর্মীদের পুলিশি হয়রানি থেকেই উদ্ভূত। ইতোমধ্যেই বিএনপির অনেক নেতাকর্মী পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে মাঠছাড়া, বাকি যারা গ্রেপ্তার হননি তারাও পুলিশের ভয়ে মাঠছাড়া। এমন অবস্থায় বিএনপির প্রার্থীদের জন্যে প্রচারণা চালানো কঠিন কাজ বৈকি! তবে এখানে হুট করে নির্বাচন কমিশন পুলিশকে এই গ্রেপ্তার বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারে না, কারণ এই সব মামলা অনেক আগের, এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলোর বেশিরভাগই নতুন নয়। ফলে চাইলেও ইসি পারে না গ্রেপ্তার বন্ধের কোন নির্দেশনা দিতে।
গণমাধ্যমে খবর এসেছে দেশের অনেক জায়গায় কেবল নৌকার পোস্টার, ধানের শীষের পোস্টার নাই। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কেউ কেউ এই ধরণের সংবাদ প্রচার করতে গিয়ে আবার কাঠগড়ায় তুলতে চেয়েছেন সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনকে। তাদের অনেকের প্রতিবেদনের সুরে এজন্যে প্রায় দায়ী করা হচ্ছে আওয়ামী লীগকেই। অথচ এই পোস্টার বিষয়ক আলোচনায় কজনই বা বলতে চেয়েছে এগুলো বিএনপি ও তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের সাংগঠনিক দুর্বলতা।
একটু পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায় একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও বিএনপি ও তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা নিশ্চিত ছিল না তারা আদৌ নির্বাচনে যাচ্ছে কিনা। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর সেখানে বিএনপি যোগ দিলে তারা সাত দফা দাবি জানায়। তারা জানায় এই দাবিগুলো মানলে তারা নির্বাচনে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার সাত দাবির একটাও মানেনি। সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই দফা সংলাপও হয়। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। পরে বিএনপি জোটের দাবির মুখে নির্বাচনের তারিখ এক সপ্তাহ পেছায়ও।
আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়া বিএনপি শেষ পর্যন্ত তাদের কোনো দাবি মানা না হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। বলা যায় রীতিমত প্রস্তুতিহীন ছিল তাদের এই নির্বাচনযাত্রা। গত দশ বছরে দলের নেতাকর্মীরা ভিন্ন ভিন্ন মামলায় পর্যুদস্ত, তার ওপর আগে থেকেই প্রার্থী ঠিক না করেই নির্বাচনে যেতে হয়েছে তাদের। তবে এই সমস্যার সমাধান করে তারা প্রথমে ৩০০ আসনের বিপরিতে ৮০০-র মত প্রার্থী দিয়ে। পরে সেখান থেকে দল-জোট ও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে।
তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলে প্রথমে বিপুল উদ্যমে মাঠে নামে বিএনপি। এরপর একটা সময়ে দলটির নেতাকর্মীরা ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করে। অনেক জায়গায় মাঠ থেকে হঠাতই উধাও হয়ে যায় তারা। পোস্টার সাঁটিয়ে মাঠ দখল করা থেকে বিরত থাকে। সারাদেশের অধিকাংশ জায়গায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পোস্টারের আধিক্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয় মাঠে কেবল নৌকার পোস্টার, ধানের শীষ নাই। এই সময়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রতিদিন জপ করতে থাকেন সুযোগ পাচ্ছেন না, সুযোগ পাচ্ছেন না। গণমাধ্যমে সে খবরও আসে। মাঠে ধানের শীষের পোস্টার নাই, কেবলই নৌকার পোস্টার; আর ওদিকে সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগে দুইয়ে দুইয়ে চার হয়ে যায়। পাবলিক সুযোগ না পাওয়ার কথাকেই বিশ্বাস করে, কারণ প্রচারণা দৃশ্যমান হয় যে পোস্টারে সেটা ত কমই, অথবা অনেক জায়গায় চোখে পড়ার মত সংখ্যায় নাই। অথচ এমন অবস্থায় ক’জন প্রশ্ন করেছে-ক’জন ভেবেছে, ধানের শীষের পোস্টার লাগানোর দায়িত্ব কি আওয়ামী লীগ কিংবা নির্বাচন কমিশনের? প্রার্থীরা পোস্টার না লাগালে ওখানে কার করার কী? এই পোস্টার না লাগানো বিষয়টি হতে পারে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান, অথবা বিএনপির কৌশল যার মূলে সহানুভূতি আর সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগের যৌক্তিকতা প্রমাণ।
এই প্রচারণার সময়ে একটা সময়ে সারাদেশে একযোগে বিএনপির প্রার্থীসহ দলটির নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়। গণমাধ্যমে সে খবরও আসে। লোকজন মোটামুটি ধরেই নেয় এই হামলা আওয়ামী লীগ করছে। এরই মধ্যে জনগণের মধ্যে এই বার্তা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে যায় বিএনপি নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে পারছে না। অনেক জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি প্রার্থীরাও আক্রান্ত হন। নির্বাচনী প্রচারণার এই সময়ে বিএনপির প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও আক্রান্ত হয়। তবে সেটা তুলনামূলক কম। এই হিসাবটা গণমাধ্যমে সেভাবে ফলাও করে উঠে আসেনি, অথবা উঠে আসলেও সেটা প্রচার হয়েছে কম। এমনকি আওয়ামী লীগও এই প্রচারণা থেকে বিরত থেকেছে শুরু থেকেই।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের যে দাবি এতদিন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি একা করে আসছিল গত ২৩ ডিসেম্বর একই দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম। ইসির সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে নীলনকশা অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট জোট সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী নির্বাচনের মাঠে না থেকে, দেশে সর্বত্র সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও হামলা পরিচালনা করছে। তারা আওয়ামী লীগসহ জোটের অফিস ভাঙচুর, মিছিলে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করছে। আবার প্রতিদিন নিজেরাই সহিংসতা সৃষ্টি করে উল্টো নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা অভিযোগ করছে এবং মিডিয়াতে লাগাতার মিথ্যাচার অপপ্রচার চালাচ্ছে’। এইচটি ইমামের দাবি, ‘নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের হাতে আওয়ামী লীগের ৫ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী সমর্থক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন’। এজন্যে তিনি অভিযুক্ত বিএনপি-জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানান।
অর্থাৎ এই লেবেল প্লেয়িং কেবল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টই জপ করছে না, কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগও একইভাবে জপ করতে শুরু করেছে।
নির্বাচনের প্রচারণার শেষাংশে এসে দেশের পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধার নয়। প্রতিদিন দেশের নানা জায়গায় বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা শঙ্কার খবর। এই পরিস্থিতি নির্বাচনের দিনের সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত বাহিনীগুলোসহ মাঠে সেনাবাহিনীও রয়েছে। তবু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্য সংখ্যা এক্ষেত্রে একটা অন্যতম কারণ হতে পারে। বাস্তবতা বিবেচনায় এসব বাহিনীগুলোর টহল একই সময়ে সব জায়গায় দেওয়া সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ-র্যাব-বিজিবি-সেনাবাহিনী কারও পক্ষে একা শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে না। দেশের নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোরও। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো এ নিয়ে সচেতন কিংবা আগ্রহী নয়।
নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বুঝানো হচ্ছে সেটা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ছাড়া অসম্ভব। বড় দলগুলো এ নিয়ে সচেতন হলেই বহুল আলোচিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত সম্ভব, তা না হলে হবে কেবল অভিযোগ আর পালটা অভিযোগের চর্চা।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)