লেবাননের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং তার সহযোগীরা দেশটির সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে শিয়া দলের মিত্ররা এর মাধ্যমে সারা দেশে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
হিজবুল্লাহপন্থী ব্লক প্রায় ৬১ টি আসন পেয়েছে। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় ৬৫ টি আসনের চেয়ে কম। এর আগের সংসদে তারা ৭১ টি আসন ছিল।
লেবাননের সংসদে ১২৮ টি আসন রয়েছে। আসন গুলো আবার অনেক মুসলিম এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্ত। দেশটির সাম্প্রদায়িক ক্ষমতা ভাগাভাগি করার নির্দেশনা রয়েছে। দেশটিতে রাষ্ট্রপতি একজন ম্যারোনাইট খ্রিস্টান, প্রধানমন্ত্রী একজন সুন্নি মুসলিম এবং সংসদের স্পিকার একজন শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের অর্ন্তভুক্ত হবেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংকটাপন্ন দেশটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গুতেরেস একটি বিবৃতিতে দেশটিতে দ্রুত সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতি সত্ত্বেও, কর্তৃপক্ষ সংবিধান মেনে চলা এবং লেবাননের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে সম্মান করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে।
দেশটির নতুন পার্লামেন্টকে এখন একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে। সেই সাথে আইএমএফ’র সাথে আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য এবং লেবাননের অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত সংস্কার করতে একটি নতুন সরকার গঠন করতে হবে। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সহিংসতার অভিযোগ তুলেছেন।