নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিকে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে টেনে নিলেন লিটন দাস, তারপর গতি বাড়ালেন রানের, কিন্তু থামতে হল পায়ের মাংসপেশিতে টান নিয়ে। যাওয়ার আগে দিয়ে গেছেন ১২৬ রান। সঙ্গে মিঠুনের ৫০ ও বাকিদের ছোট ছোট অবদান। সিলেটে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে তাতে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১২১ রানের ইনিংসটি খেলার পথে প্রথমবার তিনঅঙ্কের দেখা পেয়েছিলেন লিটন। রোববার ৯৫ বলে ৯ চার ও এক ছয়ে মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ট্রিপানোর বল লেগসাইডে ঠেলে এক রান নিয়ে ক্যারিয়ারের ৩৪তম ওয়ানডেতে ছুঁয়ে ফেলেন দ্বিতীয় শতক। পায়ে টান নিয়ে ফেরার সময় ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১০৫ বলে ১২৬ রান নামের পাশে।
বাংলাদেশ-৩২১/৬ (৫০)
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তে বেশ ভালো সাড়া দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে এসেছে ৩২১ রানের বড় সংগ্রহ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০০৯ সালে, ৩২০ রান।
লিটনকে নিয়ে ওপেনিংয়ে আসা তামিম ইকবাল খেলছিলেন বেশ রয়েসয়ে। ৬০ রান তোলার পর উদ্বোধনী জুটিতে যতি পড়ে। রিভিউয়ের ভুল ব্যবহার করে ফেরেন তামিম। ২ চারে ৪৩ বলে ২৪ করে।
১৯ বছর বয়সী ডানহাতি অভিষিক্ত অফস্পিনার ওয়েসলের বলে ডিফেন্স করতে যেয়ে লাইন মিস করে প্যাডে আঘাত হানতে দেন বাঁহাতি ওপেনার। জিম্বাবুয়ের আপিলে আম্পায়ার সাড়া দেয়ার পর রিভিউ নিয়ে তামিম দেখলেন বল আঘাত হানত লেগ-মিডল স্টাম্পের মাঝামাঝিতে। অগত্যা ফিরতেই হয় সাজঘরে।
পাঁচ মাস পর ওয়ানডেতে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে পরের জুটিতেও দারুণ জমে যান লিটন। তাদের যৌথ প্রযোজনায় আসে ৮০ রান। এক চার ও বিশাল দুই ছক্কায় তরুণ বাঁহাতির ব্যাটে আসে ৩৮ বলে ২৯ রান।
শান্তর আউটেও থাকল তামিমের প্রভাব! সিনিয়র রিভিউ ব্যবহার করে গেছেন। লেগস্পিনার টিনোটেন্ডার বলটি যখন প্যাডে আঘাত হানে এবং আম্পায়ার এলবিডব্লিউ ঘোষণা করে দেন, তখন সাজঘরে ফেরা ছাড়া উপায় ছিল না শান্তর। অথচ টিভি রিপ্লে বলছিল বল স্টাম্পের বাইরে দিয়েই যেত। রিভিউ ছিল না, আম্পায়ারকে চ্যালেঞ্জও জানানো যায়নি।
লিটন ভুল করেননি। সেঞ্চুরি তুলে ছুটছিলেন। কিন্তু অসময়ে থামতে হয়েছে। তার শতকের খানিক পরেই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম, ১৯ করে। সেই ধাক্কা বুঝতে দেননি মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মিঠুন-রিয়াদ জুটিতে ওঠে ৬৮ রান, ঝড়ো গতিতে। এমপোফুর ইয়র্কারে এলবি হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আসে ২ চার ও এক ছক্কায় সাজানো ২৮ বলে ৩২ রান।
মিঠুন আরও কিছুক্ষণ ছিলেন। পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটি তুলে এমপোফুর বলেই এবলিডব্লিউ হয়েছেন। ৫ চার ও এক ছয়ে ৪১ বলে ঠিক ৫০ রান তার। শেষের কাজটুকু সেরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ৩ ছক্কায় ১৫ বলে অপরাজিত ২৮ রান তার অবদান।