ভারতের আরাভ আপ্পুকুত্তানের জন্মেছিলেন নারী হিসেবে। অার সুকন্যা কৃষ্ণার জন্ম হয়েছিল পুরুষ হিসেবে। তিন বছর আগে তাদের দেখা হয়েছিল মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে। সেখানে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে গিয়েছিলেন তারা। সেখানেই পরিচয় হয়। এরপর প্রেমে পড়েন। এখন তারা বিয়ের পরিকল্পনা করছেন।
তিন দশক মেয়ে হিসেবে কাটিয়ে ছেলে হয়েছেন আরাভ আপ্পুকুত্তান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যখন আমরা বুঝতে পারি যে আমরা দুজন দুজনকে বেশ গভীরভাবে অনুভব করি, তখন আমরা পরষ্পরের মুঠোফোন নম্বর বিনিময় করে নেই। আমি সারাজীবন সুকন্যার সঙ্গে কাটিয়ে দিতে চাই। ইতোমধ্যে বিয়ের জন্য ভারতের কেরালা সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
কৃষ্ণা জানান, রুপান্তরকামী সমাজে এমনকি হিজরাদের প্রতিদিন অবমাননার শিকার হতে হয়েছে। তাদের নিয়ে পরিবারও চিন্তিত থাকে। সমাজে সংস্কারের সময় এসেছে। ভারতে রূপান্তরকামীদের কেউ চাকরি দিতে চায় না। লিঙ্গ পরিবর্তনের পরে দুবাই যাওয়ার ভিসা দেওয়া হয়নি কুত্তানকে।
এদিকে বিয়েটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কৃষ্ণা। তার কথায়, সমাজে রুপান্তরকামীরা বরাবরই বোঝা। বঞ্চিত হতে হয় তৃতীয় লিঙ্গদেরও। এদের মধ্যে বেশিরভাগকেই ভিক্ষাবৃত্তি করতে হয়। কেউ আবার জড়িয়ে পড়েন দেহব্যবসায়। সন্তান নিয়েও রূপান্তরকামী দম্পতিদের অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
তবে বিয়ের পর সন্তান দত্তক নিতে চান বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণা। তিনি জানান, আমরা আমাদের প্রেমকে স্বীকৃতি দিয়ে সমাজের কাছে একটা দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে চাই। সবাইকে শোনাতে চাই আমাদের গল্প। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।