স্প্যানিশ লা-লিগায় প্রতিপক্ষকে গোলের বন্যায় ভাসিয়েছে তিন জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তিন কুতুবের ১৭ গোলের দিনে রিয়াল মাদ্রিদ ৬-১ গোলে রিয়াল বেটিসকে, বার্সেলোনা ৪-০ গোলে দেপোর্তিভো লা করুনাকে এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৭-১ গোলে হারিয়েছে।
টানা চার ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর হতাশা দূরে ঠেলে রিয়াল বেটিসকে ৬-১ গোলে রীতিমতো উড়িয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষের মাঠে পাওয়া এ জয়ে কোচ জিনেদিন জিদানের বড় স্বস্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোল পাওয়া। এছাড়া ইসকোর জোড়া গোল এবং রাফায়েল ভারানে, করিম বেনজেমা ও মার্সেলোর গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়ালের মতো স্বস্তি আছে বার্সেলোনায়ও। লিওনেল মেসির ফেরার ম্যাচে দেপার্তিভোর বিপক্ষে বড় জয় পায় কাতালানরা। লিগে আগের ম্যাচে হারের পর বেশ চাপে ছিলেন কোচ লুইস এনরিকে। সেই সাথে মেসির ইনজুরি। সামনে আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যালেঞ্জ। সব মিয়ে এই ম্যাচে ছন্দে ফেরার তাগিদ ছিল মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের।
চোট কাটিয়ে তিন সপ্তাহ পর মাঠে ফিরেই বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি পেয়েছেন গোলের দেখা। ম্যাচের ২১ মিনিটেই বার্সাকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহা। ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তিনিই।
প্রথমার্ধেই সুয়ারেজের আরো এক গোলে ব্যবধান বাড়ায় বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মাঠে নেমেই নেইমারের বাড়ানো বল থেকে বার্সাকে ৪-০ গোলে এগিয়ে নেন মেসি।
রাতের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথমে পিছিয়ে পড়েই শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের জালে গুণে গুণে সাতবার জড়িয়েছে ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
খেলার ১৮ মিনিটে কুয়েনকার গোলে লিড পায় গ্রানাডা। এই গোলই যেন তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ৩৪ মিনিটে জানিক ফ্রেইরার কারাস্কোর গোলে সমতায় ফেরে অ্যাটলেটিকো। এরপর ৪৫ ও ৬১ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কারাস্কো। ৬৩ ও ৮১ মিনিটে জোড়া করেন আর্জেন্টাইন তারকা নিকোলাস গাইটান। আ খেলার শেষ দিকে ৮৫ ও ৮৭ মিনিটে অ্যাঞ্জেল কোয়েরা ও থিয়াগো গোল করলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যাটলেটিকো।
এই মৌসুমে সব ধরনের টুর্নামেন্টে এখনো অপরাজিত সিমিওনের দল। এই জয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই থাকলো অ্যাটলেটিকো। ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট তাদের। সমান সংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুই নম্বরে রিয়াল মাদ্রিদ। ১৭ পয়েন্ট তিন নম্বরে সেভিয়া। আর এক পয়েন্ট কম নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চারে বার্সেলোনা।