ডেভিড ওয়ার্নার আক্ষেপ হতেই পারে, ইংল্যান্ডের পরপর দুই টেস্টে খুব কাছে গিয়ে শতক হাতছাড়া হয়েছে তার। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের হতাশার রাতে সাদা পোশাকে ছয় নম্বর সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে দিন শেষ করেছেন মার্নাস লাবুশেন।
অ্যাডিলেড ওভালে অ্যাশেজের দিবারাত্রির টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। করোনা ইস্যুতে নাটকীয় সকালের পর কামিন্সের বদলি হিসেবে নেতৃত্বে আসেন স্মিথ। অজিরা দিন শেষে করেছে দারুণ অবস্থানে থেকে, স্কোরবোর্ডে ২২১ রান তুলতে হারিয়েছে মোটে ২ উইকেট।
শুরুটা যদিও ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। পরে ওয়ার্নার-লাবুশেনের ১৭২ রানের জুটি দারুণ করে দেয় দিন-রাতের শেষটা। ব্রিসবেনের গ্যাবায় ৯৪ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টেও নড়বড়ে নব্বইয়ে ফিরেছেন ওয়ার্নার। ১৬৭ বলে ১১ চারে ফেরার আগে করে যান ৯৫ রান। অজিদের ইনফর্ম ব্যাটারকে ব্রডের ক্যাচ বানিয়ে স্বস্তি ফেরান স্টোকস।
স্বস্তিটা অবশ্য বেশি সময় স্থায়ী হয়নি সফরকারীদের। তিনে নেমে একপাশে দেয়াল হয়ে দিন পার করেন লাবুশেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক স্মিথ।
দ্বিতীয় দিনে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো দুহাত উপরে তোলার লক্ষ্য ডানহাতি লাবুশেনের। ২৭৫ বল খেলে অপরাজিত রয়েছেন ৯৫ রানে। শেষদিকে বাটলার ক্যাচ ফেললে ওয়ার্নারের মতো হতাশায় পড়তে হয়নি লাবুশেনকে।
ইংলিশ বোলারদের ব্যর্থতার দিনে সাফল্য বলতে শুরুতে মার্কাস হ্যারিসকে (৩) তুলে নেয়া। অজিদের হারানো অন্য উইকেটটি ৫০ রান খরচায় ঝুলিতে পুরেছেন বেন স্টোকস।
লাবুশেনের সঙ্গে ৪৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে অধিনায়ক স্মিথ অপরাজিত আছেন ৭১ বলে ১৮ রানে।
প্রথম টেস্টে ৯ উইকেটে হেরে পিছিয়ে ইংলিশরা। তৃতীয় টেস্ট ২৬ ডিসেম্বর, নতুন বছরের ৫ জানুয়ারি সিডনিতে চতুর্থ টেস্ট। ১৪ জানুয়ারি হোবার্টে পঞ্চম তথা সিরিজের শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে দুদল।