ফেনীতে পূজার গান বাজানো আর কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে তুলশী রাণী দাস নামে এক অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে গর্ভের শিশু হত্যার ঘটনায় যুবলীগের আট কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে তাদের ওই মামলার আসামি দেখিয়ে ফেনীর আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি আটজন গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা ও আশপাশের গ্রামের নুর হোসেন, আমির হোসেন, জাকির হোসেন, আলমীর হোসেন বাবুল, রিয়াজ উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও সোহাগ।
জেলা পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল হক পিপিএম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অবশ্যই নিন্দাজনক। ইতিমধ্যেই আমরা মামলা নিয়েছি এবং কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকীদের ধরতে অভিযান চলছে।
অপরাধীদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে অপরাধ করেছে সেই অপরাধী। তারা কোন দলের সেটি কোনো বিষয় না।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমরা গতকাল থেকে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছি। আরো ৮ জনকে ধরার জন্য গ্রেফতার অভিযান চলছে। ভিকটিম তুলশী রাণী দাসের অবস্থা উন্নতির দিকে। এলাকার পরিস্থিতিও এখন শান্ত।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে প্রসুতি তুলশী রাণী দাসের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের কারণে জরুরী ভিত্তিতে তিন ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে।
এর আগে, বুধবার রাত ৮ টায় ফেনী সদর উপজেলায় পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা জেলে পাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাথিয়ারা গ্রামের সাহাবউদ্দিনের ছেলে ইকবালের নেতৃত্বে ৭-৮জন যুবক হামলা করে। এতে এক নারীর গর্ভপাতসহ ২০ জন আহত হয়।