নারায়ণগঞ্জের লাঞ্ছিত শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন। সচিবালয়ে আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর প্রথম ময়না তদন্ত রিপোর্ট সঠিক ছিলো না। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত চলছে। দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে দেশের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী। দেশে আইএস’র কোন অস্তিত্ত্ব নাই বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে হত্যার হুমকি প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী বলেন, হত্যার হুমকি যে কেউ যে কাউকে দিতেই পারে, তবে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তনু হত্যা প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, প্রথম ময়নাতদন্তে বিভ্রান্তি ছিল তবে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এছাড়া ডিএনএ টেস্টে তিন ধর্ষকের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। শিগগিরই জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।
জঙ্গি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত জঙ্গি হামলার ৩৭টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২৫টি ঘটনার সঙ্গে জেএমবি, আটটির সঙ্গে আনসারুল্লাহ ও চারটির সঙ্গে অন্যান্য সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। তবে আইএসের সম্পৃক্ততা এখনও পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ৬টিতে চার্জশিট দেওয়া হছে আর ৩১টি মামলা দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু। উক্ত কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী, এলজিআরডিমন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজি, ডিএমপি কমিশনারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।