আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে দিনটি পালন করা হচ্ছে। তবে কক্সবাজারে দু’টি আন্তর্জাতিক শরণার্থী শিবিরে দিবসটি পালন করা হয়েছে দু’দিন আগেই।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অভিবাসন সমস্যা দু’যুগ ধরে ঝুলে থাকায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের দু’টি ক্যাম্পে ২৯ হাজার শরণার্থী অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং এবং টেকনাফের নয়াপাড়া দু’টি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প। দু’টি ক্যাম্পে ২৯ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাস। আরো দু’টি আনরেজিস্টার্ড ক্যাম্পে রয়েছে ৮০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা। সবশেষ ২০০৫ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন করা হলেও বেশ কয়েক বছর ধরেই বন্ধ এর কার্যক্রম।
ক্যাম্পগুলোর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানালেন, নিজেদের দেশে শান্তিতে থাকলে এদেশে থাকতেন না তারা। মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নিলেই তারা নিজ দেশে ফেরত যেতে রাজি আছেন বলেও জানান।
টেকনাফের লেদায় অনিবন্ধিত ৩০ হাজার, উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী এলাকায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বাস করছেন।
এত বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কারণে কক্সবাজারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এরা মানবপাচারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।
উখিয়া উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি বখতিয়ার আহমেদ জানান, ক্যাম্পগুলোতে থেকেই রোহিঙ্গারা মানবপাচার, মাদকব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। তাদেরকে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের অনাগ্রহ এবং শরণার্থীদের ছাড়পত্র না দেয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা যাচ্ছে না। তবে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আবারও শুরু হবে বলে আশা এ অঞ্চলের মানুষের।