লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ এবং পার্লামেন্টের সামনে হামলাকারী খালিদ মাসুদ একা হামলা করেছিলো নাকি তার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত ছিলো, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুলিশ সবার কাছে তথ্য চেয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাসুদের হামলার উদ্দেশ্য, প্রস্তুতি এবং সহযোগীদের ব্যাপারে অনুসন্ধানে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি উপ-কমিশনার মার্ক রাউলি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সন্ত্রাসী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে খালিদ মাসুদ হামলাটি একা চালিয়েছে, নাকি অন্য কেউ তাকে উৎসাহ, সমর্থন বা নির্দেশনা দিয়েছে সেটা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ। হয়তো এমন অনেকে আছেন, যারা আগে থেকেই মাসুদকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন, কিন্তু কোনো না কোনো কারণে হয়তো আমাদেরকে সে সম্পর্কে আগে বলতে পারেননি।’
লন্ডন পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে ও ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে গাড়ি নিয়ে চালানো ওই হামলায় নিহত আরেক ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লেসলি রোডস। ৭৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি দক্ষিণ লন্ডনের ক্ল্যাফাম এলাকার অধিবাসী ছিলেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতার মোট ১১ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। মেট্রোপলিটান পুলিশ জানিয়েছে, ছেড়ে দেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আর কোনো পুলিশি কার্যক্রম হবে না।
ছেড়ে দেয়া ৭ জনের মধ্যে ৬ জনকে হকলি ও বার্মিংহাম থেকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। আরেকজনকে ম্যানচেস্টার থেকে আটক করা হয়।
বুধবার দুপুরের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের কাছে ছুরিকাঘাত ও ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে গাড়ি চাপা দিয়ে হামলায় পুলিশসহ ৫ জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ৪০ জন। পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়।
হামলার শুরুটা লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে। শহরের ব্যস্ততম ব্রিজটিতে সাধারণ মানুষের ওপর গাড়ি তুলে দেয় হামলাকারী। হতাহতরা রাস্তায় পড়ে থাকার মাঝেই ব্রিজ থেকে নেমে মোড় ঘুরে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে যায় গাড়িটি।
পার্লামেন্ট গেটের নিরস্ত্র পুলিশ সদস্যরা তাকে থামাতে গেলে হামলাকারী গাড়ি থেকে নেমে তাদের ছুরিকাঘাত করে। পরে অস্ত্রধারী পার্লামেন্ট ভবনের দিকে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
বুধবারের ওই হামলায় ৫ জন নিহত হওয়া ছাড়াও ৫০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩১ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দু’জনের অবস্থা গুরুতর আর একজনের দেহে প্রাণঘাতী আঘাত রয়েছে।