যুক্তরাজ্যের পশ্চিম লন্ডন এলাকায় ২৪ তলা গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় শহরের অধিবাসীরা লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ৫০-৬০ জন ক্রুদ্ধ বিক্ষোভকারী কেনসিংটন অ্যান্ড চেলসি টাউন হল ঘেরাও করে। তাদের দাবি, আগুনে ঘরহারাদের ‘এক্ষুণি’ সহায়তা প্রয়োজন।
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বা ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’ শ্লোগান দিতে দিতে কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী এক পর্যায়ে টাউন হলের ভেতরেই ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে পুলিশ অন্তত একজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরেকটি দল লন্ডনের আরেকটি হলের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। ওই হলে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আগুন থেকে বেঁচে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এছাড়াও ডাউনিং স্ট্রিটে বিক্ষোভ করেছে অনেকে।
ওই অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ এবং ব্রিটিশ সরকারের তীব্র সমালোচনা চলছে। সমালোচকদের অভিযোগ, তারা ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এখন পর্যন্ত টেরেসা আক্রান্তদের পোশাক, খাবার এবং জরুরি সরবরাহের জন্য ৫০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড বরাদ্দ দিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদাদাতাদের তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত আগুনের ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত আরও ৭০ জন। এ ঘটনায় সেখানে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো তথ্য দিয়েই সহায়তা করছে না।
কীভাবে লন্ডন শহরের মতো একটি স্থানে একটি বহুতল ভবনে এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এত মানুষের মৃত্যু হলো, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনার একটি প্রকাশ্য তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ বের করতেও না পারলেও পুলিশ জানিয়েছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভবনটিতে আগুন লাগানোর কোনো প্রমাণ বা ইঙ্গিত তারা পায়নি।