চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

লন্ডনে হামলাকারী ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জানিয়েছেন যে ওয়েস্টমিনসটারের হামলাকারী বিট্রিশ বংশোদ্ভূত এবং পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে তার সম্পর্কে তথ্য ছিলো। হাউজ অব কমোনসে দেয়া এক বিবৃতিতে থেরেসা মে বলেন কয়েক চরমপন্থার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক বছর আগে তার সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হচ্ছিল। তবে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

সেখানে মে বলেন: খুব বড় হুমকি না হওয়ায় তার প্রতি নজর রাখা হচ্ছিলো। গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক হুমকির তালিকাতেও সে ছিলো না।

এই ঘটনার জের ধরে কমপক্ষে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ৫০ বছর বয়সী পুলিশ অফিসার পিসি কেইথ পামের এবং ৪৩ বছর বয়সী আয়েশা ফ্রেড নামের এক স্কুল শিক্ষিকা। এই ঘটনায় সংকটময় পরিস্থিতে আছেন আরও অন্তত সাতজন। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আইএস।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তা কেইথ পামের এবং স্কুল শিক্ষিকা আয়েশা ফ্রেড

বুধবার দুপুরের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের কাছে ছুরিকাঘাত ও ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে গাড়ি চাপা দিয়ে হামলায় পুলিশসহ ৫ জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ৪০ জন। পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়।

হামলার শুরুটা লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে। শহরের ব্যস্ততম ব্রিজটিতে সাধারণ মানুষের ওপর গাড়ি তুলে দেয় হামলাকারী। হতাহতরা রাস্তায় পড়ে থাকার মাঝেই ব্রিজ থেকে নেমে মোড় ঘুরে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে যায় গাড়িটি।

পার্লামেন্ট গেটের নিরস্ত্র পুলিশ সদস্যরা তাকে থামাতে গেলে হামলাকারী গাড়ি থেকে নেমে তাদের ছুরিকাঘাত করে। পরে অস্ত্রধারী পার্লামেন্ট ভবনের দিকে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।

মানচিত্রে হামলাকারীর সম্ভাব্য গতিপথ

 

হামলার পরপরই পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়। ভেতরে আটকে পড়া এমপি ও দর্শনার্থীদের নিরাপদে বের করে আনে পুলিশ। এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’ বলছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

এ হামলাকে ‘বিকৃত মানসিকতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের কাছে ব্রিটেন মাথা নত করবে না।

এছাড়া লন্ডন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে লন্ডন পুলিশের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যেকোনো লড়াইয়ে ব্রিটেনের পাশে থাকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি।