প্রথম দিনে দুই সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় দিনে তিন ফিফটি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। শুক্রবার কলোম্বোতে ৯ উইকেটে ৬২২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলি।
শেষবেলায় প্রথম ইনিংস ২ উইকেটে ৫০ রান তুলে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। ফলোঅন এড়াতেই এখনও ৩৭৩ রান চাই স্বাগতিকদের। উপুল থারাঙ্গা (০) ও দিমুথ করুনারত্নে (২৫) ফিরেছেন সাজঘরে। কুশল মেন্ডিস ১৬ ও অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল ৮ রানে তৃতীয় দিনের লড়াই শুরু করবেন।
ভারতের ৬২২ রানের ইনিংসটি লঙ্কানদের মাটিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭০৭ রানের ইনিংসটিও তাদেরই। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। ২০১৩তে গল টেস্টে মুশফিকুর রহিমের ২০০ এবং মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯০ রানে ভর করে ৬৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছিল টাইগাররা।
সকালে ৩ উইকেটে ৩৪৪ রান নিয়ে শুরু করে ভারত। অপরাজিত চেতেশ্বর পূজারা আর মাত্র ৫ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ১৩৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। আরেক অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান আজিঙ্কা রাহানে ফিরেছেন ১৩২ রানে।
দুই সেঞ্চুরিয়ানের বিদায়ের পর অতিথিদের ইনিংস লম্বা হয়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫৪), ঋদ্ধিমান সাহা (৬৭) এবং রবীন্দ্র জাদেজার অপরাজিত ৭০ রানে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোন টেস্টের এক ইনিংসে ৬টি পঞ্চাশ পেরোনো রানের ইনিংস দেখল ক্রিকেট বিশ্ব।
নিজের ৫১তম টেস্টে আরেকটি ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁয়েছেন অশ্বিন। ৫৪ রানের ইনিংস খেলার পথে তুলে নিয়েছেন সাদা পোশাকে নিজের ২০০০ রান। আর বল হাতে ২৫০টি উইকেট তো ছিলই। এতে পেছনে ফেলেছেন রিচার্ড হ্যাডলি, ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের মত কিংবদন্তি অলরাউন্ডারদের। দুই হাজার রান এবং আড়াইশ উইকেট পেতে হ্যাডলিকে খেলতে হয়েছিল ৫৪টি টেস্ট। ইমরান খান এবং ইয়ান বোথাম খেলেছিলেন ৫৫টি করে টেস্ট। ৫১ টেস্টেই সেটা ছুঁলেন অশ্বিন।
পরে বল হাতেও লঙ্কানদের শাসনের বন্দোবস্তটা সেরে ফেলেছেন অশ্বিন। লঙ্কানরা মাত্র ৩৩ রানের যে দুই ওপেনারকে হারাল, সেই দুইয়ের ঘাতকই এই অফরস্পিনার! তৃতীয় দিনে বাকিদেরও অশ্বিন-জাদেজার ঘূর্ণির সামনে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে।