রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুকে (৪০) তার গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনায় বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে তাকে সমাহিত করা হয়।
নিহত রেনু লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড উত্তর সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে এইক এলাকার আলাউদ্দিন মাঝি বাড়ির মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
তার মুত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রেনুর সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
নিহতের বড় বোন সোনাপুর গ্রামের সেলিনা আক্তার জানান, ‘তারা ৫ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে রেনু ছিলেন সবার ছোট। মেধাবী প্রতিভাবান রেনু অনার্স পাশ করে মাস্টার্স পরীক্ষাও দেন। সে বিয়ের আগ থেকেই ঢাকায় থাকেন এবং ব্র্যাক এবং আড়ং এর প্রধান কার্যালয়ে চাকরি করতেন।
‘‘প্রায় ১৪ থেকে ১৫ বছর আগে বাড্ডা এলাকার তসলিম হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে হয়। পরে তাদের সংসারে দুই সন্তান জন্ম নেয়। ছেলে তাহসিন আল মাহিদ (১১) ও মেয়ে তাসমিন তাবা (৪)। প্রায় গত দুই বছর পূর্বে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।’’
তারপর থেকে সন্তানদের নিয়ে রেনু মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায় থাকতেন জানিয়ে সেলিনা বলেন, ‘ছোট মেয়ে তাসমিন তাবাকে ভর্তির জন্য স্কুলে যায় সে। কিন্তু ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। আমরা এ হত্যার সঠিক বিচার চাই।’
শনিবার সকালে সন্তানকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করার জন্য স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ হারান তাসলিমা বেগম রেনু।