কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সয়াবিন চাষে আগ্রহ বেড়েছে লক্ষ্মীপুরের কৃষকদের। অর্থকরি ফসল হিসেবে আমনের পরই সয়াবিন চাষে কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
লক্ষীপুরের মাঠে মাঠে এখন সয়াবিন গাছের সমারোহ। এই ফসল চাষে উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় জেলার বেশিরভাগ কৃষক সয়াবিন আবাদ করেছেন। গত কয়েক বছর ধরেই এ অঞ্চলে সয়াবিন চাষ হচ্ছে । প্রতি বছরই বাড়ছে এই ফসলের চাষ । সারাদেশে উৎপাদিত সয়াবিনের প্রায় ৭৫ ভাগ উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুরে।
লক্ষ্মীপুরের এক কৃষক বলেন, এবার গতবারের চেয়ে ফলন ভালো হওয়ার আশা করা হচ্ছে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি তাই আমরা সয়াবিনের আবাদ করি।
চলতি মৌসুমে রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। উৎপাদনের পরিমান ধরা হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। এর দাম প্রায় চারশ’ ৫০ কোটি টাকা।
লক্ষ্মীপুর কমলনগর ফজুমিয়ার হাট ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, এখানকার কৃষরা সয়াবিন চাষে আসার একটামাত্র কারণ, সয়াবিন চাষে খরচ কম লাগে আর লেবার কম লাগে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, প্রতি বছর সয়াবিনের আবাদ বাড়ছে। গত বছরের চেয়ে আরো এক হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে সয়াবিনের আবাদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সয়াবিন আবাদে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। যা পরবর্তী ফসল আবাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক।