ভারতে ২৪ মে থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। কিন্তু শাবানা আজমি তারও আগে থেকে নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছেন। শুটিং এর জন্য বুদাপেস্ট যেতে হওয়ায় ১৫ মার্চ ভারতে ফিরে সেলফ আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। এক সাক্ষাতকারে শাবানা আজমি জানান, সেলফ আইসোলেশন শেষ হওয়ার আগেই ভারতে লকডাউন দেয়া হয়েছে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে ঘরে আঁটকে আছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি হইচই করে বেড়ানো মানুষ। কখনোই ভাবিনি এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। তবে জাভেদ আখতার এবং আমি আগে কখনই এত সময় একসঙ্গে কাটাইনি। এটা লকডাউনের ইতিবাচক দিক।’
ঘরে থাকলেও সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছেন এই জুটি। শাবানা আজমি জানান, ‘জাভেদ লিখছে, আমি প্রচুর পড়ছি। কিছু স্ক্রিপ্টও দেখছি। আমার বাবার প্রতিষ্ঠিত এনজিওর কিছু কাজও দেখছি। শুকনা খাবার, তেল, স্যানিটারি টাওয়েলের সাথে আমরা প্রায় ২২ হাজার মাস্কও বিতরণ করেছি।’
শাবানা আজমি মনে করেন করোনাভাইরাস আমাদেরকে অনেক কিছু অনুধাবন করতে শিখিয়েছে। তিনি বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন থাকা এবং স্যানিটাইজেশন ছাড়াও আমরা নিজেদের লোভ সংবরণ করা শিখেছি। অনেকের আলমারিতেই উপচে পড়া কাপড়, ব্যাগ এবং জুতা। তবুও আমাদের আরও চাই। লকডাউন শিখিয়েছে কত অল্পতেই আমাদের জীবন চলে। সফলতা মাপা উচিত কেউ অন্যকে কতটুকু সাহায্য করতে পারলো তার উপর ভিত্তি করে।’
শাবানা আজমি মনে করেন, এই মহামারীতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা বুঝা গেল। অভিবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার কষ্ট, ধনী-গরীবের ভেদাভেদ আরও স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুললো। সমাজের শুধু একটা অংশকে নিয়ে ভাবলে চলবে না, সবাইকে নিয়ে ভাবার সময় এটা।