চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

লকডাউন ইউরোপের ৩০ লাখ মানুষকে বাঁচিয়েছে

বিশ্বব্যাপী লকডাউন আরোপ করায় ইউরোপের ১১ টি দেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যু থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের একটি গবেষণা দল। 

এই গবেষণা দলটি আরও জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রিত উপায়ে কঠোরভাবে এমন লকডাউনের ব্যবস্থা যদি না করা হতো তাহলে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সের মতো গোটা ইউরোপ জুড়ে করোনাভাইরাসের মৃত্যু সংখ্যা লাগামহীন ভাবে বেড়ে যেত।

ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষণার দলটি হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ‘কেবলমাত্র অল্প সংখ্যক মানুষ করোনায় সংক্রামিত হয়েছে। আর এখনও আমরা করোনাভাইরাসের মহামারির শুরুতেই আছি।’

ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন ৪ মে পর্যন্ত ওই ১১টি দেশ থেকে করোনা ভাইরাসে মারা যাওয়া সম্পর্কিত ডাটা সংগ্রহ করেছে ইউরোপিয়ান সেন্টার অব ডিজিজ কন্ট্রোল থেকে। তারা গবেষণায় বলছে, লকডাউন জারি থাকায় জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেন, স্পেন, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডে প্রায় ৩১ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে।

তবে এর মধ্যে এসমস্ত দেশে করোনাভাইরাসে মারা গেছে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।

এই হিসেব নিয়েই যেসব দেশে লকডাউন দেয়া হয় নি, সেখানকার মৃতের সংখ্যার সঙ্গে ওই দেশগুলোর মৃতের সংখ্যার তুলনা করে গাণিতিক মডেল দাঁড় করানো হয়েছে।

বিশেষ করে লকডাউনের ফলে সংক্রমণ বিপুল পরিমাণে কমতে সহায়ক হয়েছে। তাই কোভিড-১৯ কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই হস্তক্ষেপ বা কড়াকড়ি অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষকরা দেখিয়েছেন, যদি কোনো ব্যবস্থা নেয়া না হতো তাহলে ওই ১১টি দেশে মে মাসের শুরুর দিকে এক কোটি ২০ লাখ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হতেন, যা তাদের জনসংখ্যার শতকরা ৩.২ ভাগ থেকে ৪ ভাগ।

ইমপেরিয়ালের ড. শেঠ ফ্ল্যাক্সম্যান বলেছেন,লকডাউন লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পেরেছে, এই মৃত্যুগুলি একটি ট্র্যাজেডিতে পরিণত হতে পারত।