মিয়ানমারে চলমান বিদ্রোহী রোহিঙ্গা ও বার্মিজ মিলিটারি মধ্যে সংঘর্ষের উস্কানিদাতা ও কারণ হিসেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দায়ী করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। জাতিসংঘের আনান কমিশনের প্রতিবেদনেও নানা বিষয় সরাসরি উল্লেখ করা রয়েছে। এতো কিছুর পরেও মিয়ানমারে লাগামহীনভাবে রোহিঙ্গা নিধন চলছে এবং তাদের জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সংঘর্ষ ও নানা ঘটনায় নিহতের সংখ্যা শতাধিক, গুলিবিদ্ধ একজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে মারাও গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব জায়গায় সীমান্ত রয়েছে সেখানে বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে। কক্সবাজারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘মিয়ানমারে যে সমস্যা হচ্ছে তার প্রেক্ষিতে সীমান্ত সিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন সন্ত্রাসীর জায়গা আমাদের দেশে হবে না। কেউ আমাদের সীমানা আক্রমণ করলে আমরা সমুচিত জবাব দেব।’ সবমিলিয়ে যে অরাজকতা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা মোটেও কাম্য না। প্রতিবেশী দেশে রোহিঙ্গাদের উপরে এ ধরণের অত্যাচার ও অনাচার আমাদের ভাবাচ্ছে। বহু বছর ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছে এবং কিছুদিন পরপরই বহু রোহিঙ্গা নতুন করে দেশে প্রবেশ করছে। অনেক রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিষয়গুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের আরও সোচ্চার হওয়ার সময় এসেছে। ইতিহাস কখনও কখনও অন্যের সমস্যায় না চাইলেও সম্পৃক্ত করে ফেলে।