চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের কাছে সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সহযোগিতা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ জুলাই পাঁচ দিনের চীন সফরে শি’র সঙ্গে বৈঠকে এ প্রসঙ্গ তুলবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলা বিলে বিরোধীতা করার ক্ষেত্রে চীনের অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকলেও রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তারা একমত। মন্ত্রীর দাবি, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাক সেটাই চায় চীন।

ইতিহাস বলছে, আরাকান রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের সত্যিকারের অনুপ্রবেশ শুরু হয়; গেলো শতকের আশি’র দশকে। যদিও সেই সংখ্যা ছিলো সহনীয়। কিন্তু বছর দুই আগে সংখ্যাটা আর গণনাযোগ্য থাকেনি।

২০১৭ সালের আগষ্টে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বাস্তুহারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি। মানবিক কারণেই তাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। যদিও কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আশ্রিতের সংখ্যা ঠেকে প্রায় দশ লাখে।

প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া এই রোহিঙ্গা ঢল ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশ। ঠেকানো যায়নি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পাশবিক অত্যাচারও। এ নিয়ে দুতিয়ালি করতে করতে হয়রান বিশ্ব কূটনীতিকরাও। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার পাশাপাশি চেষ্টা হয়েছে জাতিসংঘসহ বহুপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে এ সঙ্কট সমাধানের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত টলানো যায়নি মিয়ানমারকে। এর বড় কারণ, মিয়ানমারের প্রতি চীন ও রাশিয়ার প্রচ্ছন্ন সমর্থন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনেও উঠলো সেই প্রসঙ্গ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের মূল আলোচ্য হবে রোহিঙ্গা সঙ্কট।

চীন সরকারের আমন্ত্রণে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে যোগদান শেষে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করার কথা রয়েছে দুই দেশের।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: