মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গাদের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বর্ণনা করেছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিপিড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’ হিসেবে। কিন্তু বিপর্যয়কর এই মানবিক দুর্যোগের প্রতি পশ্চিমা দুনিয়া যেনো অনেকটাই নির্লিপ্ত। আর তাই রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রতি নজর ফেরাতে একটি উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্যের এজ হিল ইউনিভার্সিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রোজ থিয়েটারে শুক্রবার (১ জুন) রোহিঙ্গা বিষয়ক প্যানেল ডিসকাশন, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে এই আয়োজনের শিরোনাম ‘হু আর ্দ্য নিউ ‘বোট পিউপল’? আনহার্ড স্টোরিজ ফর্ম রোহিঙ্গা, দ্য ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং রিফিউজি ক্রাইসিস’।
‘বোট পিউপল’ বলতে মূলত নৌকাযোগে নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে অন্যদেশে আসা আশ্রয়প্রার্থীদেরই বুঝায়।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযানের মুখে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি সই হলেও এ বিষয়ে অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
এজ হিল ইউনিভার্সিটির এই আয়োজনে- রোহিঙ্গারা কারা? তাদের কী ধরণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে? তারা কি গণহত্যার শিকার, এই ব্যাপারে করণীয় কী? এমন বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে।
এজ হিল ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. তাসলিম শাকুরের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে প্যানেল ডিসকাশন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হবে। এছাড়াও ‘ইমেজিং সাউথ এশিয়ান কালচার ইন নন-ইংলিশ’ শিরোনামে এসএসিএস (সাউথ এশিয়ান কালচার স্টাডিজ) জার্নালের একটি বিশেষ সংখ্যাও প্রকাশ করা হবে।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১৮ মে থেকে শুরু হয়েছে চিত্র প্রদর্শনী, যা চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশি/ফরাসি চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা সংকটের অনুরূপ চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে।
এছাড়াও এই আয়োজনে সাম্প্রতিক ও পুরোনো আলোকচিত্রও প্রদর্শিত হবে। থাকছে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার পর রোহিঙ্গাদের প্রতিদিনের জীবন ক্যামেরায় ধরে রাখা বাংলাদেশি ফটো জার্নালিস্ট ফোজিত শেখ বাবুর আলোকচিত্র।
প্রোগ্রাম:
৬.৩০- এক্সিবিশন প্রিভিউ, হেইল হল
৭.৩০- ইন্ট্রোডাকশন (ড. তাসলিম শাকুর), আর্টস সেন্টার
৭.৪০- রোহিঙ্গা ডকুমেন্টারি স্ক্রিনিং
৮.০০- আর্টিস্টিক পারফর্মেন্স
৮.৩০- প্যানেল ডিসকাশন
৯.০০- ‘ইমেজিং সাউথ এশিয়ান কালচার ইন নন-ইংলিশ’ পরিচিতি
৯.৩০- সমাপ্ত