রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাখাইনে সেনা অভিযান বন্ধ করা এবং মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত নিয়োগ করার কথা বলেছে জাতিসংঘ। তবে জাতিসংঘের এই সমাধান প্রস্তাবনার বিরোধিতা করেছে চীন, রাশিয়াসহ এবং আরো কিছু দেশ।
ওআইসির প্রস্তাবিত এই সমাধানের পক্ষে জাতিসংঘে ভোট দেয় ১২২ টি দেশ। সেখানে ২৪টি দেশ ভোট প্রদানই করেনি, আর ১০ দেশ বিরোধিতা করে। চীন, রাশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ফিলিপিন্স ও ভিয়েতনাম মিয়ানমারের পক্ষে ভোট দেয়।
জাতিসংঘের বর্ণিত সমাধানে সরকারকে সহায়তাকর্মীদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের কথা বলা হয় এবং রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়।
সেখানে অনুরোধ জানানো হয়, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনিও গুটারেস মিয়ানমারে একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করবেন। জাতিসংঘে এই সমাধানগুলো গৃহীত হয় বাজেট কমিটির সবুজ সংকেতের পর, তারা মিয়ানমারে জাতিসংঘের নতুন দূত নিয়োগে অর্থায়ন করতে রাজি হয়।
গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ারমারের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে, এই অভিযান চালানো হয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে যারা পুলিশ পোস্টে হামলা চালিয়েছিল।
তবে গত সপ্তাহে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংগি লি বলেন, তাকে দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে সেখানকার সরকার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।