কক্সবাজারের উখিয়ার ময়নাখোলায় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ময়নাখোলায় প্রথমে ত্রাণ দেবেন তিনি। এরপর বালুখালী-হাকিমপাড়া ও পানমাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। মোট ৪টি স্পটে ত্রাণ বিতরণ করবেন তিনি। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরতদের মানবেতর জীবনের দৃশ্যপট স্বচক্ষে দেখবেন।
মোট ১১ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। এর মধ্যে ৫ হাজার প্রসূতি ও ৫ হাজার শিশু খাদ্যও রয়েছে।
মোট ৪টি স্পটে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। উখিয়ার বালুখালি, পালংখালি, কুতুপালং, বোয়ালমারা, জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের মানবেতর জীবনের দৃশ্যপট স্বচক্ষে দেখবেন ও ত্রাণ বিতরণ করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
ড্যাবের অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে প্রথমে যাবেন বেগম খালেদা জিয়া। এ নিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, আমাদের আগেও যেমন প্রস্তুতি ছিলো এখনো আছে। ড্যাবের চিকিৎসা সেবা টানা চলতে থাকবে বলে জানান তিনি।
এসময় রাস্তার দু’পাশে দেখা যায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় মানুষের ঢল। ব্যানার ফেস্টুন হাতে তারা স্বাগত জানান খালেদা জিয়াকে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কক্সবাজার সার্কিট হাউজ থেকে রওনা দেন। কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদেরসহ সব মিলিয়ে ১৫টি গাড়ি রয়েছে তার সঙ্গে।
এর আগে রোববার রাত ৮টায় কক্সবাজার সার্কিট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক হামলা ও বাধার সম্মুখিন হয়ে এবং লাখো মানুষের ঢল ঠেলে কক্সবাজার পৌঁছে স্বস্তি প্রকাশ করেন।
কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ নেতা ছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কোন নেতাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিকে না যেতে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করেন তিনি। কেবলমাত্র চেয়ারপার্সনের সিলেক্টেড নেতারাই থাকবেন বলে জানান।
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বেগম খালেদা জিয়া বিকেলে চট্টগ্রামের পথে যাত্রা করবেন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তার রাত্রিযাপনের কথা রয়েছে। ৩১ তারিখ তিনি ঢাকা ফিরবেন তিনি।