কক্সবাজারের টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নুর হাকিম (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১০ রোহিঙ্গা।
রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম।
নিহত নুর হাকিম টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুলের ২১ নাম্বার ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা হোসেন আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও এবিপিএন সূত্র বলছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২১ নাম্বার ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এরই মধ্যে রোববার ভোররাতে দুইপক্ষ গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে নুর হাকিম নিহত হয়। আহত আরও ১০ রোহিঙ্গা।
১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, দুইপক্ষের গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হয়তো পালিয়ে যাওয়ার পথে কোন একটা বড় আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। আহত আরও ১০ রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
উখিয়ায় রোহিঙ্গার হাতে স্থানীয় দোকান কর্মচারি খুন
কক্সবাজারের উখিয়ায় ফোরকান আহমদ ওরফে কালু (২২) নামের এক স্থানীয় দোকান কর্মচারিকে জবাই করে টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়েছে অপর সহযোগী রোহিঙ্গা কর্মচারি।
রোববার ভোররাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজার দক্ষিণ ষ্টেশনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত দোকান কর্মচারি উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উখিয়ার কোটবাজার দক্ষিন ষ্টেশনের স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহ আলমের মালিকানাধীন একটি ডেকোরেশনের দোকানে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা কর্মচারিরা কাজ করত। একারণে রাতে এক সাথে ওই ডেকোরেশনের দোকানে ঘুমাতো।
রোববার ভোররাতের যেকোন সময়ে স্থানীয় কর্মচারি ফোরকান আহমদ ওরফে কালু (২২) কে ঘুমন্ত অবস্থায় জবাই করে হত্যা করে অপর রোহিঙ্গা কর্মচারি। এসময় দোকানে থাকা ৪৫ হাজার নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা কর্মচারির পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করেছে।
উখিয়া থানার ওসি আহমদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রোববার বেলা ১১টার দিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। ধারনা করা হচ্ছে টাকার লোভে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে। দোকান মালিক শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি কক্সবাজার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।