বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট কক্সবাজারে দুইদিনের বিশেষ সফর শেষ করেছেন। কক্সবাজার সফরে অনিবন্ধিত-নিবন্ধিত রোহিঙ্গা এবং জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
সফরে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত দুটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। প্রকল্প দুটির একটি বাংলাদেশ সরকারের মানবপাচার রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা, যেটি জনসচেতনতা তৈরির লক্ষে কর্মসূচি, বিদেশগমনের পূর্বে অভিবাসীদের সহায়তা, পুলিশ প্রশিক্ষণ, ভুক্তভোগীদের আশ্রয় এবং সহায়তা প্রদান করে থাকে।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের অধীনে অপর প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন তিনি। প্রকল্পটির অধীনে আধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতার মাধ্যমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও সরকারি সেবার মানবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের সরকারি সেবা পাবার ক্ষেত্রে সময়, খরচ এবং অসুবিধা দূর করা হয়।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট উল্লেখ করেন যে, অনেক দশক ধরেই বাংলাদেশ হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। এই অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ যা করেছে তার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
তিনি বাংলাদেশ, বার্মা এবং এই অঞ্চলের দেশগুলোকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন যেন এই দেশগুলো রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করতে পারে। তাছাড়াও রোহিঙ্গা শরণার্থী, আশ্রয় প্রার্থী এবং তারা যে অঞ্চলে আছেন সেই সম্প্রদায়কে সাহায্য ও সুরক্ষা প্রদানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
২০১৩ অর্থবছর থেকে মিয়ানমার ও এই অঞ্চলের রোহিঙ্গাসহ আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, শরণার্থী ও অশ্রয় প্রার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৫২ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে।
উক্ত তহবিল বিভিন্ন মানবিক সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থা যারা অন্যান্য সেবাসহ চিকিৎসা সেবা, খাবার, পানি, আশ্রয়, প্রতিবন্ধীদের জন্য সেবার ব্যবস্থা করে, তাদেরকে সহায়তা প্রদান করে।