রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট হলেও এখনো ভোগান্তির শিকার বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজারবাইজানে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এই সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন: রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট এবং এর সমাধান তাদেরই করতে হবে।
এমন অবস্থায় চ্যানেল আই অনলাইনের আরও একটি খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানা যায়: ‘টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ইউসুফ আলী (৩২) নামের রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বল্লা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।’
ওই প্রতিবেদনে আশঙ্কার তথ্য জানিয়েছেন কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন। তিনি বলেছেন: ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি ১৫ দিন আগে তারা ২০ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি যদিও আটক হওয়া রোহিঙ্গা যুবককে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছেন, কিন্তু বাকি ১৯ রোহিঙ্গার বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। আমরা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ার খবর দেখেছি। এমনকি অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে অবস্থান করছে বলে খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন। এসব বিষয় দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেই আমরা মনে করি।
এক্ষেত্রে ন্যাম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের সাথে আমরা একমত পোষণ করছি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ, রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাই সংকট সমাধানে তাদেরও দায় রয়েছে।
একইসঙ্গে রোহিঙ্গারা যাতে কোনোভাবেই ক্যাম্পের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। টাঙ্গাইলে গ্রেপ্তার হওয়া ওই রোহিঙ্গার দেয়া তথ্যমতে বাকি ১৯ রোহিঙ্গা কোথায় আছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তা দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।