পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ থাকা সত্ত্বেও সমন্বয়হীনতার অভাবে রোহিঙ্গারা ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা সেল খোলা হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা মানছে না ব্যক্তি বা কোন সংগঠন। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট স্থান থেকে ত্রাণ বিতরণ করা গেলে সমস্যা অনেকাংশে কমবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে মাইলের পর মাইল হেটে বাংলাদেশে প্রতিদিনই অনুপ্রবেশ করছে হতভাগ্য রোহিঙ্গারা। টেকনাফ থেকে উখিয়া পর্যন্ত ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার অসহায় হাত। প্রতিদিনই এই হাতের সংখ্যা বাড়ছে, কেননা নতুন আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পুরাতন রোহিঙ্গাদেরও যোগ দিতে হচ্ছে ত্রাণের লাইনে।
বিদেশি সংস্থাগুলো নিয়ম মেনে নিবন্ধন করে ত্রাণ বিতরণ করলেও দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পর্যায়ে যে ত্রাণগুলো দেওয়া হচ্ছে তাতে নেই কোনো সম্বনয়। যে যার মত রাস্তার পাশে ত্রাণ বিতরণ করছে। যার ফলে কোন জায়গায় রোহিঙ্গারা একাধিক ত্রাণ পাচ্ছেন আবার কোথাও কেউ পাচ্ছেন না কিছুই। আর রাস্তায় ত্রাণ বিতরণ করায় রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে যাচ্ছে না ত্রাণ।
তবে টেকনাফে কিছুটা শৃঙ্খলা মেনে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চলছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রায় ১৫ হোজার রোহিঙ্গা পরিবারদের খাবার দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: