ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়েও জোড়া গোল হজম জুভেন্টাসের। তার উপর রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় দ্বিতীয়ার্ধের বেশিরভাগ সময় ১০ জনে খেলতে হয় জুভদের। চলতি মৌসুমে সিরি আ’তে যখন ইতালিয়ান জায়ান্টরা প্রথম হারের আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্তিত হিসাবে মাঠে নেমে ম্যাচের শেষবেলায় গোল করেন সিআর সেভেন। সেই গোলেই হার এড়িয়ে কোনোক্রমে মুখরক্ষা হয় জুভেন্টাসের। সেইসঙ্গে এই মৌসুমে লিগে অপরাজিত থাকার রেকর্ড বজায় রাখে তুরিনের ‘ওল্ড লেডি’রা।
সিরি আ’র অ্যাওয়ে ম্যাচে আটলান্টার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে জুভেন্টাস। জয় না এলেও ১৮ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে তারা। রোনালদো ছাড়া জুভেন্টাসের অপর গোলটি প্রতিপক্ষের কাছ থেকে কার্যত বড়দিনের উপহার হিসাবে পাওয়া। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই আল্টা ডিফেন্ডার বেরাত জিমসিটি নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন।
ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় বেরাত নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বসলে জুভেন্টাস শুরুতেই লিড পায়। ১৮ মিনিটে বেন্তাঙ্কুর প্রথমবার হলুদ কার্ড দেখেন। ২৪ মিনিটে জাপাটার গোলে ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায় আটলান্টা। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে বেন্তাঙ্কুর দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখায় তাকে লাল মাঠের বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। ৫৬ মিনিটে গোমেজের পাস থেকে গোল করে জাপাটাই আটলান্টাকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। ৬৫ মিনিটে স্যামি খেদিরার বদলে মাঠে নামেন রোনালদো। ৭৮ মিনিটে কিয়েল্লিনির ক্রস থেকে হেডে গোল করে জুভকে ২-২ সমতায় ফেরান তিনি।
ম্যাচের বাকি সময়ে দু’দল মরিয়া প্রচেষ্টা করেও আর গোল করতে পারেনি। লিগে চলতি মৌসুমে এই নিয়ে ১৮টি’র মধ্যে দু’টি ম্যাচ ড্র করল অ্যাল্লেগ্রির দল। বাকি ১৬টি ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে জুভরা।
রাতের অন্য ম্যাচে জয় পেয়েছে ইন্টার মিলান, এএস রোমা ও লাসিও। নাপোলিকে ১-০ গোলে হায় ইন্টার। সাসুওলোর বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে রোমা। আর বোলোগনার বিপক্ষে লাসিওর জয় ২-০ গোলের। এছাড়া ফ্লোরেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পার্মা, জিওনার বিপক্ষে একই ব্যবধানে জয় পেয়েছে ক্যাগলিরি। শিয়েভোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় সাম্পদোরিয়া, এম্পোলিকে ৩-০গোলে হারায় তোরিনো। ফ্রসিনোন ক্যালসিওর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে এসি মিলান। স্পালের সঙ্গে একই ফলাফল করেছে উদিনেস।