বৃটেনের মুসলিমদের জন্য স্থানীয়ভাবে রোজা রাখার সময় কমিয়ে আনার প্রস্তাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকাটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ জানিয়ে বৃটিশ-মুসলিমদের রোজার সময় কমানোর আহবান জানিয়েছে উদারপন্থী ধর্মীয় চিন্তাধারার সংগঠন ‘কুইলিয়াম ফাউন্ডেশন’ এর মতো কয়েকটি গোষ্ঠি।
মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় বৃটেনে দিনের আলো বেশিক্ষণ স্থায়ী হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অবশ্য গত বছরই ‘নিশীথ সুর্যের দেশ’ নরওয়েতে ২০ ঘণ্টা রোজা রাখা নিয়ে কথা উঠেছিলো।
নিজেদের উদারপন্থী ‘থিংক ট্যাংক’ হিসেবে পরিচয় দেয়া সংগঠন ‘কুইলিয়াম ফাউন্ডেশনে’র ইসলামিক স্টাডিজের জেষ্ঠ গবেষক ড. উসামা হাসান জানান, ইসলাম সব সময় ভারসাম্য এবং নমনীয়তার নীতিকে সমর্থন করে।
তার দাবি, ইসলামি চিন্তাবিদেরা অনেকদিন ধরেই রোজার সময় কমানো নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে আসছেন। বৃটেনে এখন এই মধ্য গ্রীষ্মে লম্বা সময় রোজা রাখার রেওয়াজের জন্য দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়। আর এবার তো প্রায় ১৯ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে।
এই গবেষকের মতে, এসব দিক বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে নয়, বরং সময় হিসেব করে রোজা রাখার সময় ১২ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ১৬ ঘণ্টা হতে পারে।
তবে রোজার জন্য ১৯ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে কোনো আপত্তি নেই এবং ‘আল্লাহ’ তাদের সেই সক্ষমতা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বৃটিশ মুসলিমরা।
তাদের এমন প্রতিক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বৃটেনের গ্রেটার ম্যানচেস্টার মসজিদের ইমাম আসাদ জামান বলেন, রোজার সময় সহ্য ক্ষমতা নিয়ে বৃটিশ মুসলিমদের অনুভূতির সাথে তিনি পুরোপুরি একমত। তার মতে মানব শরীরে এমন চমৎকার কিছু আছে যা সকল পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।