পর্তুগীজ ও রিয়াল মাদ্রিদ সুপার স্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সবচেয়ে পছন্দের জিনিস গাড়ি।এরপরেই তার কাছে আসার স্থান পেয়েছে নারী। একটা সময়ে গাড়ীর চেয়ে নারী প্রেমেই মজে ছিলেন রোনালদো। ব্রিটিশ এক ট্যাবলয়ডের মতে ২৮ বছরে রোনালদোর বান্ধবী পরিবর্তন করেছেন ২৮ বার। রাশিয়ান সুপার মডেল ইরিনা শায়েক ছিল রোনালদোর শেষ গার্লফ্রেন্ড।
কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ মহাতারকার সঙ্গে নাকি সমকামী সম্পর্ক রয়েছে তাঁর মরক্কান কিক বক্সার বন্ধুর। নাম বদর হরি। স্প্যানিশ মিডিয়ার আরও দাবি, এই কিক বক্সারের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই মরক্কো যান সিআর সেভেন। ফ্রান্সের টিভিতে একটি অনুষ্ঠানে এই নিয়ে আলোচনার পর থেকেই জল্পনাটি আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে ফুটবল মহলে।
সেই অনুষ্ঠানে নাকি এক ফুটবল বিশেষজ্ঞ হঠাৎ বলেন, ‘‘মাঠের বাইরে ফুটবলাররা যা করেন তার একটা প্রভাব মাঠে পড়ে বলেই মনে হয়। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকেই ধরা যাক। এক বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতে সপ্তাহে তিন-চার বার মরক্কো উড়ে যাওয়ার প্রভাব হয়তো ওঁর পারফরম্যান্সে রয়েছে।’’
ফ্রান্সের টিভি অনুষ্ঠানে ওই মন্তব্যের পর এক নাতিদীর্ঘ রিপোর্ট প্রকাশ করে ফেলেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল। একই সঙ্গে তারা রিয়াল মাদ্রিদ ঘনিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে তারা লিখেছে, ‘রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজও রোনালদোর নিয়মিত রাবাত (মরক্কোর রাজধানী) যাতায়াত নিয়ে বেশ চিন্তিত। তার মাঠের পারফরম্যান্সে রাবাত যাতায়তের কারণে কোনো প্রভাব পড়ছে কি না সেটাও জানতে চান পেরেজ।’
মূলতঃ রোনালদো-হারির সমকামী সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ওঠে, মাস দেড়েক আগে রোনালদোর সঙ্গে হারির দুটি ছবি পোস্ট করা নিয়ে। ওই ছবিগুলোর প্রথমটায় দু’জন পুল সেশনে। যা পোস্ট করে হারি লেখেন, ‘পুল সাইডে ঠান্ডা হচ্ছি রোনালদো ভাইয়ের সঙ্গে। আমার সুন্দর দেশটায় তোমাকে স্বাগত জানানোটা সব সময়ই দারুণ ব্যাপার।’ তবে বেশি হইচই হচ্ছে দ্বিতীয় ছবিটা নিয়ে। যে ছবিতে রোনালদোকে কোলে তুলে নিয়েছেন হারি। আর লিখেছেন, ‘জাস্ট ম্যারেড। দুঃসময়ে তোমার পাশে সব সময় আছি ভাই।’
কিকবক্সার হারির জীবনের কাহিনী আবার রূপকথার মতো। সব ছেড়ে উদ্বাস্তু হিসেবে অন্য দেশে আসার পর কিকবক্সিংয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসেন তিনি। তার এক কন্যাও আছে। মরক্কোতেই থাকেন। আর সে দেশে তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট অনুযায়ী হারির অন্যতম ‘ফেভারিট’ ঘড়ি, গাড়ি আর পুরুষদের ফ্যাশন।
পর্তুগিজ মহাতারকা অবশ্য তাদের নিয়ে ছড়ানো জল্পনার প্রসঙ্গে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে আগে রোনালদো দাবি করেছিলেন, তিনি সমকামী নন। বছর পাচেক আগে পর্তুগালে সমকামীদের বিয়েকে সমর্থন করা প্রসঙ্গে সিআর সেভেন বলেছিলেন, ‘একজন পর্তুগিজ হিসেবে দেশে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকার চেষ্টা করি। পরস্পরের ব্যক্তিগত ইচ্ছেকে সম্মান করা উচিত আমাদের। কারণ যাই হোক না কেনো, সব নাগরিকের সমান অধিকার আর দায়িত্ব থাকা উচিত।’