চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রেকর্ড-পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড লড়াই

বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে শুভ সূচনা করার পর পথ হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৬ রানে হেরে চাপের মুখে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল।

কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রানের পাহাড় গড়ে। জবাবে সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরির (১২১) পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮০ রানের বেশি এগোতে পারেনি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে বেশ কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। রেকর্ড বইয়ে পরিবর্তন, পরিসংখ্যান বইয়েও এসেছে বেশকিছু পরিবর্তন। সেগুলো তুলে ধরতেই এই আয়োজন।

১: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে তার প্রথম শতক। মাহমুদউল্লাহর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বমঞ্চে শতক, দেশের দ্রুততম।

২: বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে এর আগে ১৫০ পেরোনো রানের স্কোর ছিল একটি। ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রান করেছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। শনিবার ১৫৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলা জেসন রয়ের মাধ্যমে এলো দ্বিতীয়টি। এটি ওয়ানডেতে রয়ের তৃতীয় ১৫০ পেরোনো ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ বার ১৫০ পেরোনো ইনিংস খেলা স্ট্রাউসকে স্পর্শ করলেন রয়।

৩: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের সেঞ্চুরিটি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের তৃতীয় শতক। মাহমুদউল্লাহ গত বিশ্বকাপে টানা দুই সেঞ্চুরি করেছেন।

৬: সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জুটিতে শতরান তুলেছিলেন সাকিব-মুশফিক। কার্ডিফে ছুঁলেন আরেকটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে ১০৬ রান তুলেছেন। যেটি বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে তাদের ষষ্ঠ তিনঅঙ্কের জুটি এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক।

৭: টানা সাত ইনিংসে ৩০০ পেরোনো রান করার কীর্তি গড়েছে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচে ৩০০ প্লাস রান করার পর বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচেও সেই ধারা ধরে রাখল মরগানের দল। ওয়ানডেতে এটি টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে ৩০০ কিংবা ততোধিক রান করার বিশ্ব রেকর্ড। এর আগে অস্ট্রেলিয়া টানা ৬ ম্যাচে এই কীর্তি গড়েছিল।

১৪: বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ছক্কার সংখ্যা। বিশ্বকাপের এক ম্যাচে ইংল্যান্ড দলের এটাই সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ড। এর আগে এক ম্যাচে ইংল্যান্ড সর্বোচ্চ ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছিল। তিনটি ভিন্ন ম্যাচে ৭টি করে ছক্কা মেরেছিল ইংলিশরা। বিশ্বকাপের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৯ ছক্কা মারার বিশ্বরেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০১৫ আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবিয়ানরা।

৯৫: টাইগার ইনিংসের ৩৩তম ওভারের তৃতীয় বলটি কাভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন সাকিব। যা বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম। সাকিবের ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। আগের দ্রুততমটি মাহমুদউল্লাহর। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ১৩১ বলে।

১২১: কার্ডিফে এদিন ১১৯ বলে ১২১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন সাকিব। স্টোকসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২ চার ও এক ছক্কায় এই রান করেছেন।

১৫৩: সৌম্য সরকার আউট হওয়া জফরা আর্চারের বলটায় কত গতি ছিল? বোলিং স্পিডস্টার বলছে, ১৫৩! এই বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ১৫৩ কিলোমিটার ঘণ্টায়। মাইলের হিসেবে ৯৫।

২৬০: এবারের আসরে ৩ ম্যাচে ৮৬.৬৬ গড়ে ২৬০ রান এখন সাকিবের। প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৬৪ রান। শনিবার দারুণ সেঞ্চুরিটির পথে জেসন রয়কে টপকে এখন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

৩৮৬: কার্ডিফে ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ। বিশ্বকাপে এর আগে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস ছিল ৩৩৮ রান। ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে এই রান করেছিল ইংলিশরা। শনিবার বিশ্বমঞ্চে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহই গড়েছে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দলের এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।