কোনাে সন্ত্রাসী হামলা নয়, রুশ-ব্রিটিশ সমর্থকদের তাণ্ডবে রক্তাক্ত হলো ইউরো। ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার ম্যাচের আগে ও পরে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ফরাসি শহর মার্সেইতে দুদলের সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
শুধু মার্সেইতেই নয়, নাইস শহরেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। তবে প্রশ্ন উঠেছে উয়েফার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।
পুলিশ বলছে বেশ কজন আহত তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের একজন ব্রিটিশ। পুলিশ এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। যাদের চার জন ব্রিটিশ।
তিন দিন আগে থেকেই মার্সেই শহরের চলছিল ফুটবল সমর্থকদের মাঝে সংঘাত। ইংল্যান্ড রাশিয়া ম্যাচ শুরুর আগে ওল্ড পোর্ট এলাকায় দুপক্ষের মারামারি থামাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করে।
মারপিটের পর এক জনকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এক আলজিরীয় পরিবার তাকে টেনে তোলায় বড় কোনো বিপদ ঘটেনি। অন্য এক জায়গায় কাফেতে আগুন লেগে গেলে তার ভেতর থেকে বোতল ও চেয়ার ছোড়া হয়। যার পর আতঙ্কিত মার্সেইয়ের দোকান ও কাফে মালিকেরা।
এসব চলছিল মাঠের বাইরেই। তবে ইংল্যান্ডের সাথে খেলা শেষ হওয়ার পর রাশিয়ার সমর্থকরা ইংল্যান্ড দলের সমর্থকদের ওপর স্টেডিয়ামের ভেতরেই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। পাল্টা অভিযোগ করেছে রাশিয়ানরাও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলা চলার সময় রাশিয়ার সমর্থকরা আগুনের পিণ্ড ছুড়তে থাকে এবং তাদের কেউ কেউ দুপক্ষের মধ্যকার বিভাজন মূলক বেষ্টনীর ওপর উঠে পড়ে।
রাশিয়া ও ইংল্যান্ডের সমর্থকদের সঙ্গে সঙ্গে ফরাসি ফুটবল সমর্থকরাও এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। যদিও সমর্থকদের বিশাল অংশই শান্ত ছিল কিন্তু স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খলা চলতে থাকে।
উয়েফা কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা এ ধরনের আচরণ করতে পারে ফুটবলের সাথে তাদের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না।