পুরনো বলে দুর্দান্ত তিনি। রিভার্স সুইংয়ের সঙ্গে ইয়র্কারে আছে পারঙ্গমতা। অধিনায়ক তাকে পুরনো বলই হাতে দেন বেশি। কিন্তু পেসারদের নতুন বলে বল করার যে মজাটা, সেটা কি মিস করেন না রুবেল? নতুন বলে বোলিং করার ইচ্ছাটা দানা বাঁধে না মনের কোণে? টাইগার পেসার রাখঢাক করলেন না। যে ভূমিকায় খেলছেন সেটি নিয়ে অসন্তুষ্টি না থাকলেও জানালেন, ওপেনিংয়ে বল না পাওয়ায় খানিকটা আক্ষেপও হয় তার।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ বল করেছেন। দুই উইকেট নিয়েছেন, হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে। পরের ম্যাচে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। বুধবার দলীয় অনুশীলনের পর দলের পরিকল্পনা, নিজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি-ভূমিকা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন রুবেল হোসেন। সেখানেই উঠে আসে নতুন বল প্রসঙ্গটি।
‘নতুন বলে অবশ্যই বোলিং করতে ইচ্ছা করে। নতুন বলে বোলিংয়ের জন্য অনেক কাজ করছি। দলে যখন নতুন বলে বোলাররা মার খেয়েছে, আমি কিন্তু তখনই বোলিং করতে চলে এসেছি। ভালও করছি। সব সময়ের জন্য প্রস্তুত আছি। অধিনায়ক যখন যেখানে দরকার মনে করবে, প্রস্তুত আছি বোলিং করার জন্য।’
দলে মাশরাফী আছেন। মোস্তাফিজ-তাসকিনরা নতুন বলে গতির ঝড় তোলেন। রুবেলের বলেও গতির অভাব নেই। তবে পুরনো বলে তার কার্যকারিতা দলকে বেশ সাহায্য করে। কিন্তু মাঝে মাঝে যখন নতুন বল হাতে পান, দেখিয়ে দেবো রকমের কোন জিদ কি কাজ করে রুবেলের মাঝে? টাইগার পেসারের কথায় উঠে এল জেদের বিষয়টির চেয়ে খানিকটা আক্ষেপই বরং বড় হয়ে ধরা দেয় মনে।
‘সাধারণত মাশরাফি ভাই নতুন বলে বোলিং করে। উইকেট বুঝে বল করে। উইকেট স্পিন সহায়ক থাকলে, ব্যাটসম্যান যদি বাঁহাতি বা ডানহাতি হয়, স্পিনার নিয়ে আসে। আমি অবশ্যই চাই নতুন বলে বোলিং করতে। আমরা তো অনুশীলনও করি নতুন বলেই। আক্ষেপ একটু আছেই। একটু আসে।’
পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার পেস ইউনিটের সঙ্গে নিজেদের পেস ইউনিটের তুলনাও করতে হল রুবেলকে। এগিয়ে রাখলেন নিজেদের আক্রমণভাগকেই, ‘ওদের দলে ভাল পেস বোলার আছে। আমাদের দলেও আছে। মাশরাফী ভাই খুব টাচে আছে। সে সবসময় ভাল বোলিং করে। মোস্তাফিজও ভাল জায়গায় আসতেছে। এটা খুব ভাল অপশন। আমাদের দলেই ভাল পেস বোলার আছে। আমার কাছে মনে হয় আমারাই সেরা। বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখব।’