রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার রুবি ভিলায় এলিট ফোর্স র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত তিন জঙ্গির একজনের পরিচয় উদঘাটিত হয়েছে। জাহিদ নামের ওই জঙ্গির আসল নাম মেজবা উদ্দিন।
রোববার দুপুরে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান চ্যানেল আই অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে জঙ্গি অভিযানের পর শুক্রবার সকালে রুবি ভিলার ভেতরে ঢোকে র্যাব। ওই সময় ভবনের পঞ্চম তলায় জাহিদ নামে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।
পরিচয়পত্র দু’টিতে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে জাহিদের সঠিক পরিচয় নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে জানা যায় পরিচয়পত্র দু’টোই ভুয়া।
এরপর জঙ্গি জাহিদের প্রকৃত পরিচয় জানার জন্য অনুসন্ধান শুরু করে র্যাব। ওই ভুয়া পরিচয়পত্রের ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ) অনুসন্ধান করে জানা যায়, জাহিদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলে গেছে।
মিল পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, জাহিদের আসল নাম মেজবা উদ্দিন। তার বাড়ি কুমিল্লায় বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানা রুবি ভিলায় ৩ জঙ্গির মরদেহ পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, সম্ভবত তারা আত্মঘাতী হয়েছে। ভেতরে একটি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। নিহতরা সবাই ২০ থেকে ৩০ বছরের যুবক। আরও একটি গ্রেনেড ওই সময় ভেতরে ছিল। তাদের রুমে পিস্তলসহ আরও কিছু আর্মস ছিল।
ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এ মাসের চার তারিখে বাসা ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা। শুক্রবার দুপুরে ব্রিফিংকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, জাহিদ নামের এক জঙ্গি রুবি ভিলা’র পঞ্চম তলা ভাড়া নিয়েছিল।
ফ্ল্যাটের অন্যরা জানায়, জাহিদ সকালে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে ফিরত। ওই রুমের অন্য দু’জনকে তারা বাসা থেকে বের হতে দেখেননি।
মুফতি মাহমুদ বলেন, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর জাহিদ নামের এক জঙ্গি বাড়িটি ভাড়া নেয়। ভাড়া নেওয়ার সময় জানিয়েছিল, সে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। দুই ভাইসহ সে একটি কক্ষে থাকার কথা বলে বাসায় ওঠে। ৪ জানুয়ারি জাহিদ একা বাসায় উঠেছিল। ৮ তারিখ বাকি দু’জন আসে।