ওয়েন রুনির রেকর্ড আর টানা সপ্তম জয়ে ইউরো ২০১৬’র মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। রুনির রেকর্ডের দিনে স্যান ম্যারিনোকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশরা।
আর ইউরো বাছাই পর্বের প্রথম লেগে স্লোভাকিয়ার কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে স্পেন। ফিরতি পর্বে ২-০ গোলে জিতে ফ্রান্সের পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
রুনি ছাড়া ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি গোল করেন থিও ওয়ালকট, হ্যারি কেইন, রস বার্কলি। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। এই জয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট বেড়ে হলো ২১।
জিতলেই তিন ম্যাচ হাতে রেখে আগামী বছর ফ্রান্সে হতে যাওয়া মহাদেশ সেরার প্রতিযোগিতায় খেলা নিশ্চিত এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে রুনির সামনে ছিল দেশের সেরা গোলদাতা স্যার ববি চার্লটনকে ছোঁয়ার হাতছানি। দুই সমীকরণেই শতভাগ সফল রয় হজসনের দল।
গত সেপ্টেম্বরে এই দলের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৫-০ গোলে জিতেছিলো ইংলিশরা। খেলার ১২ মিনিটে স্বাগতিক ডিফেন্ডার মার্কো বেরারদি ডি বক্সের মধ্যে জন স্টোনসকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। আর তা থেকেই বল জালে জড়িয়ে মাইলফলক স্পর্শ করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা।
১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চার্লটন ও রুনি, দুজনেরই জাতীয় দলের হয়ে এখন গোল ৪৯টি।
৩০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইংল্যান্ড। গোলটি অবশ্য আত্মঘাতী ছিলো।দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই স্কোর ৩-০ করে জয় নিশ্চিত করেন মিডফিল্ডার রস বার্কলি। জাতীয় দলের হয়ে এটাই প্রথম গোল তার।
৬৮তম মিনিটে ফাবিয়ান ডেলফের ক্রসে খুব কাছ থেকে বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান আরো বাড়ান থিও ওয়ালকট। পরে দুই মিনিটের মধ্যে আরো দুটি গোল করে স্কোরলাইন ৬-০ করে ইংলিশরা। ৭৭তম মিনিটে স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের লক্ষ্যভেদের পরের মিনিটেই নিজেদের দ্বিতীয় গোলটি করেন ওয়ালকট।
অন্যদিকে, গত অক্টোবরে প্রথম লেগে স্লোভাকিয়ার মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিলো স্পেন। তবে এবার আর সুযোগ নষ্ট করেনি ভিসেন্তে দেল বস্কের শিষ্যরা।এদিন খেলার ৫ মিনিটেই জর্দি আলবার গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
ইউরোর টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ৩০তম মিনিটে বক্সের মধ্যে দিয়েগো কস্তাকে অতিথি গোলরক্ষক মাটুস কোজাচিক ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্পেন। তা থেকেই লক্ষ্যভেদ করেন ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালের গোলদাতা।
এ জয়ে স্লোভাকিয়াকে পেছনে ফেলে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠলো স্পেন। দুই দলের পয়েন্ট সমান ১৮ হলেও গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে স্লোভাকিয়া।
একই রাতে বেলারুশকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউক্রেন। এছাড়া সুইডেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে রাশিয়া।