চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা অনেক স্পেশাল ছিল’

একপাশে ঝড় তোলা লিটনের সাথে তাল মিলিয়ে ছুটছেন সৌম্য। তরতরিয়ে এগোচ্ছে রানের চাকা। সেখান থেকে হঠাতই নেই তিন উইকেট। লিটন-সৌম্যর সঙ্গে সাজঘরে মুশফিক। দ্রুত তিনজনকে হারানোর পর উইকেট-রানের গতি দুটোই একসঙ্গে ধরে রাখা কঠিন ছিল, আবার প্রয়োজনও ছিল। সে কাজটাই করেছেন মাহমুদউল্লাহ-সাকিব। দারুণ সঙ্গ মিলেছে। বড় সংগ্রহ গড়তে অসুবিধা হয়নি। সাকিব তাইতো বললেন, এই মাহমুদউল্লাহকেই সবসময় চাওয়া তার।

দ্রুত তিন উইকেট সাজঘরে ফেরার পর নেমেই ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। ২২ গজে এসেই টানা তিন চার হাঁকান। শেষঅবধি আক্রমণাত্মক ছিলেন এ ডানহাতি। আক্রমণাত্মক হতে যেয়ে ধসও নামতে পারত। তবে সাকিবের মতে, শুরু থেকেই আগ্রাসী হওয়ায় মাহমুদউল্লাহর সেরাটা বেরিয়ে এসেছে।

‘তখন আমাদের দুজনের একটি উইকেট যদি পড়ে যেত, পরের একজন ব্যাটসম্যান যদি তাড়াতাড়ি আউট হতো, এত রান হতো না। দ্রুত দুই উইকেট পড়ার পর চিন্তা করেছি আবার ধস নামবে কিনা। ওই সময় আমাদের জুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

জুটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সঙ্গে রানের চাকা সচল রাখতে পারাটাও। মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের পঞ্চম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৯১ রান আসে। সেটি মাত্র ৪২ বলে। ২৬ বলে ৪২ রানে অপরাজিত সাকিব, আর ২১ বলে ৪৩ রানে মাহমুদউল্লাহ। অন্যপ্রান্ত থেকে মাহমুদউল্লাহর ওরকম সমর্থন পেয়েছেন বলেই নিজের কাজটা সহজ হয়েছে সাকিবের। রানটাও গেছে বাড়তি উচ্চতায়।

‘রিয়াদ ভাই এসেই চাপটা ওদের ফিরিয়ে দিয়েছে, যেটা আমাদের কাজটা সহজ করে দিয়েছে। আমার জন্য সহজ হয়ে গেছে। রিয়াদ ভাই অনেক শট খেলছিল, আমাদের জন্য ইনিংস গড়া সহজ ছিল তাতে। রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা অনেক স্পেশাল ছিল।’

বড় সংগ্রহের ভিত তখন হয়ে গেছে। সেটাকে যথার্থ রূপ দিতে না পারলে ম্যাচ জেতা কঠিন হতো। ২১১ করেও জয়টা কেবল ৩৬ রানের। ওই সময় শট খেলতে যেয়ে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেও প্রশ্ন উঠত। তবে সাকিব বলছেন, ওভাবেই ব্যাট করা উচিত মাহমুদউল্লাহর।

‘এরকম পজিটিভ মাইন্ডে থাকলে রিয়াদ ভাই ভালো করেন। কিছু সময় উনি ইনিংস গড়ে তোলার চেষ্টা করেন (আস্তে আস্তে)। আমার মনে হয় এটা ভুল কৌশল ওনার। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ভুল হতে পারে, ঠিকও। তবে এই পথটাই (মেরে খেলা) ওনার জন্য বেশি উপযুক্ত, অন্তত টি-টুয়েন্টিতে। ওয়ানডেতেও।’