নিহত রিফাত শরীফের সঙ্গে নয়ন ও তার সহযোগীদের দ্বন্দ্বের কারণ প্রকাশ্যে না বললেও তাদের কাছের মানুষেরা জানিয়েছেন, ব্যবসা এবং মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ে নয়নদের সাথে রিফাত শরীফের দ্বন্দ্ব হয়। আর সে কারণেই প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে।
বরগুনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলেন, নয়নের মাদক ব্যবসায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ এবং বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়রের ছেলে জনের প্রশ্রয় ছিল।
বরগুনা শহরে জনের হয়ে ডিশ এবং ইন্টারনেট ব্যবসা দেখাশোনা করতো রিফাত শরীফ। ওই ব্যবসার অফিস মাদকের কাজে ব্যবহার হতো বলেও অভিযোগ করেন তারা।
নয়ন এবং রিফাত শরীফকে যারা কাছ থেকে চিনতেন তারা বলেন, নয়ন সম্প্রতি মাদক নিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর সন্দেহ করেন, তার বন্ধু রিফাত শরীফই তাকে ধরিয়ে দিয়েছেন। এরপর রিফাত শরীফকে যখন পুলিশ মাদকসহ গ্রেফতার করে তখন নয়ন তার ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন।
রিফাত শরীফকে হত্যার ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাত ফরাজী প্রথমে দৌড়ে এসে রিফাত শরীফকে কোপানো শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন তার ভাই রিশান ফরাজি এবং নয়ন। এই রিফাত ফরাজী এবং রিশান ফরাজী সাবেক সংসদ সদস্য, বরগুনা জেলা পরিষদের প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রীর ভাগনে।
সম্প্রতি দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনের ক্যাফেতে স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে খেতে গিয়ে রিফাত শরীফ দেলোয়ারের বাড়ির গেইটের সামনে মোটরবাইক রাখেন। এ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটকাটি হয়। রিফাত শরীফকে কোপানোর সময় রিফাত ফরাজী সে কারণে তার রোষের কথা বলে।
বরগুনার মানুষ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেনের আত্মীয় হলেও রিফাত এবং রিশান ফরাজির অপরাধমূলক কাজে সুনাম দেবনাথ এবং জনের প্রশ্রয় ছিল।
মাদক ও সন্ত্রাসসহ ওইসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অর্থ নিয়ে দ্বন্দ্বও রিফাত হত্যার পেছনে কাজ করে থাকতে পারে বলে মনে করেন তাদের কাছ থেকে চেনা মানুষেরা।
বিস্তারিত দেখুন ওবায়দুল রশিদের ভিডিও প্রতিবেদনে: