বরগুনায় রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে তার বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এদের মধ্যে চন্দন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের পাশে রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কয়েকজন যুবক। সেসময় নানাভাবে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেও বাঁচতে পারেনি রিফাত।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন যুবক রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর আঘাত করছে। আর তাদের হাত থেকে স্বামীকে রক্ষার চেষ্টা করছেন রিফাতের স্ত্রী। তিনি চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রিফাতকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রিফাত বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা-লবণগোলা এলাকার দুলাল শরীফের ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে দশটার দিকে স্ত্রীকে কলেজে পৌঁছে দিতে গেলে কয়েক যুবক রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সেসময় দুর্বৃত্তদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন রিফাতের স্ত্রী। তিনি চিৎকার করে অন্যদের সাহায্য চান। কিন্তু ঘটনাস্থলে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকলেও কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।
নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ জানান: দুইমাস আগে রিফাত বরগুনার পুলিশ লাইন এলাকার আয়শা আক্তার মিন্নিকে বিয়ে করে। তারপর থেকে নিজের সাবেক স্ত্রী দাবি করে পশ্চিম কলেজ সড়কের নয়ন নামের এক যুবক মিন্নিকে উত্যক্ত করতে শুরু করে এবং ফেসবুকে আপত্তিকর ছবিও পোষ্ট করে।
‘‘এর প্রতিবাদ করায় রিফাতকে সকালে নয়ন, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও রাব্বি আকন রিফাতকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ আবির মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’