ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন। রুলে এই নির্বাচনের তফসিল কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
গত ৯ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনসহ সিটি কর্পোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া এলাকায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করেন ভাটারা ইউপির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
রিট আবেদনের যুক্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, গত বছরের জুলাইতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ১৮ টি ওয়ার্ড সম্প্রসারণ করে সীমানা পুনঃনির্ধারন করে। কিন্তু এসব ওয়ার্ডের ভোটার তালিকা এখনো প্রকাশ না করেই তফসিল ঘোষণা করায় রিট করা হয়।
এছাড়া রিটের যুক্তিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, সিটি কর্পোরেশন আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী ‘মেয়রের পদসহ কর্পোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, কর্পোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’
কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পূর্বের ৩৬ টি ওয়ার্ডের সংগে নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত করায় এবং এই যুক্ত করার ফলে ৭৫ ভাগ নির্বাচিত কাউন্সিলর না থাকায় আইন অনুযায়ী মেয়র পদ যথাযথ ভাবে গঠিত হতে পারে না।
রিটের যুক্তিতে আর বলা হয়, পূর্বের কয়েকটি ইউনিয়ন পরিসদের এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সম্প্রসারণ করে ওয়ার্ড করায় গত ২০১৫ সালে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান- মেম্বারদের এখন কি কি হবে? এইরূপ অস্পষ্ট অবস্থা উল্লেখ করে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চাওয়া হয়।
রিটকারিদের পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব ভূঁইয়া চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, রিট আবেদনের এই যুক্তিগুলো বিবেচনায় নিয়েই আদালত রুল সহ আদেশ দিয়েছেন।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী, আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী আহসান হাবিব ভূঁইয়া।আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।