বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখার ম্যানেজার মায়া সান্তোস দেগুইতো ও তার ডেপুটি অ্যাঞ্জেলা টরেসকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে তদন্তের পর আরো অনেককে বরখাস্তের আভাসও দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক নীতি লঙ্ঘন এবং বাণিজ্যিক নথি বিকৃতির অভিযোগে মঙ্গলবার তাদের বরখাস্ত করা হয়। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে। খবর ইনকো ডটনেটের।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষ হওয়ার পরে ব্যাংকটির অন্যান্য শাখা এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপের পাশাপাশি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অনেককে বরখাস্ত বা সাময়িক অব্যাহতিও দেয়া হতে পারে।
ব্যাংকটি জানিয়েছে, রেমিটেন্সের ৮১ মিলিয়ন ডলার মানি লন্ডারিংয়ে দেগুইতো এবং তার ডেপুটি টরেস যৌথভাবে আইন লঙ্ঘন করেছেন। বিষয়টি এখন ফিলিপিন্স সিনেটের ‘ব্লু বিবন’ কমিটির পাশাপাশি অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলসহ সরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তদন্ত করছে।
আগামী সপ্তাহেই দেগুইতো এবং টরেসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলেও জানিয়েছে ব্যাংকটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ
ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়, যার বেশিরভাগই গেছে ফিলিপিন্সে। সেখানকার রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ আসে এবং অভিযোগের পর ব্যাংকের ম্যানেজার দেগুইতো জাপানে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে আটক করা হয়।