বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনা তদন্তে সহায়তা করবে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই। মামলার তদন্তকারী সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রয়োজন হলে সাবেক গভর্নরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তারা।
বৃহস্পতিবার দিনভর বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন তদন্তকারী সিআইডি কর্মকর্তারা। জানিয়েছেন তদন্ত কাজে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সার্বিক সহায়তা পাচ্ছেন তারা।
এরইমধ্যে জব্দ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল সার্ভার। ব্যাক অফিস অব দ্যা ডিলিং রুমটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিলো, ত্রুটি থাকলে কি ধরনের ত্রুটি ছিলো জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা।
সিআইডি’র ডিআইজি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান,’ যে কম্পিউটার থেকে হ্যাকিংটা হয়েছে, যে প্রিন্টার ব্যবহার করা হয়েছে এবং যে সার্ভার থেকে ম্যাসেজগুলো গেছে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কী ধরণের নিরাপত্তা ছিলো, কী ধরণের ফায়ারওয়াল ছিলো বা কম্পিউটার সিস্টেমটার নিরাপত্তা কেমন ছিলো, এতে কীভাবে ত্রুটি দেখা দিলো এসব বিষয় বিশ্লেষণ করা হচ্ছে’।
ইতোমধ্যেই অনানুষ্ঠানিকভাবে ব্যাক অফিস অব দ্যা ডিলিং রুমের দু কর্মকর্তা ছাড়াও বাইরের আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
শুক্রবার দুপুরে এফবিআই’র বাংলাদেশ অফিস প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হবে তাদের। এ সম্পর্কে সিআইডি’র ডিআইজি বলেন,’এফবিআই’র সঙ্গে আমাদের কাল আলোচনা হবে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। ইন্টারপোলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে’।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকার বিষয়ে ইতোমধ্যে ফিলিপিন্স সরকারকে সহায়তা দেয়া শুরু করেছে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই।
মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে দায়ের করা মানিলন্ডারিং এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় কোনো আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।