ঢাকা প্রশাসন প্রধান সড়কগুলো থেকে রিক্সা চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। রিক্সা উচ্ছেদ প্রশাসনিক উদ্যোগ নতুন কিছু নয় । প্রায় ফি বছর নানান মোড়কে রিক্সা উচ্ছেদের লুকোচুরি চলে।
রিক্সা উচ্ছেদের পিছনের কারিগররা রিক্সা উচ্ছেদ করে ঢাকাকে আধুনিক ও উন্নত নগরীতে পরিণত করার কথা বলে। ঢাকাকে আধুনিক ও উন্নত নগরীতে রিক্সা থাকবে না। হকার থাকবে না। শহরে কোন বস্তি থাকবে না। দারিদ্র্য যাদুঘরে স্থান পাবে। এই স্লোগানগুলো জীবন যুদ্ধে দুমড়ে মোচড়ে যাওয়া মধ্যবিত্তকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়। রিক্সা উচ্ছেদ লুকোচুরির বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো প্রধানতঃ অনালোচিত রয়ে যায়। এই উচ্ছেদ প্রতি ধাপেই প্রশাসন ‘ভিআইপি ‘ দের সুবিধার জন্য ঢাকার কিছু কিছু রাস্তা ‘সংরক্ষিত ‘ করে নেয়।
ক্ষমতাসীন সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে কিছু ‘শ্রমিক – মালিক’ সংগঠন ঢাকা শহরের রিক্সা নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে ৩০টি সংগঠন ঢাকা শহরের ‘ অবৈধ ‘ রিক্সা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই সংগঠনগুলোর অভ্যান্তরীন গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রবল। রিক্সা উচ্ছেদের ডামাডোলে এই সংগঠনগুলোর নানান মেরুকরণ হয়ে থাকে। নাটকের শেষ অংকে ক্ষমতাসীন দল গরীব মানুষের পরিত্রান দাতা হিসেবে আবির্ভাব হয়ে ‘ উচ্ছেদ প্রক্রিয়াকে ‘ স্থগিত করে মানুষের বাহবা পেয়ে থাকে। মধ্য জুন থেকে মধ্য জুলাই ২০১৯ এ এই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃতি ঘটেছে।
ঢাকায় রিক্সা উচ্ছেদের প্রথম প্রশাসনিক উদ্যোগ
১৯৮২ সালের ২৮ মার্চ জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করার পাশাপাশি দৃষ্টি আকর্ষণমূলক রাস্তা ঘাট পরিষ্কার করা,রাস্তার পাশের ঘর-বাড়ী চুনকাম করা, ছোট খাটো দুর্নীতিবাজ গ্রেফতার এর মত কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছিলো। সেই সময় প্রথম সংগঠিত প্রশাসনিক উদ্যোগে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক থেকে রিক্সা উচ্ছেদ ও ‘ অবৈধ ‘ রিক্সা বাজেয়াপ্ত করা শুরু করে।
সামরিক শাসনের শুরুতে রাজনৈতিক দলগুলোর নিষ্ক্রিয়তা রিক্সা উচ্ছেদ রিক্সা শ্রমিক – মালিকদের জীবন জীবিকাকে বিধস্ত করে তোলে। রিক্সা শ্রমিকদের মধ্যে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর তেমন কোন সংগঠিত কাজ ছিল না। ঢাকা মেট্রোপলিটান রিক্সা মালিক – চালক সমিতি নামে একটি সংগঠন গণ মাধ্যমের প্রচার ছাড়াই ১৭ এপ্রিল ১৯৮২ সনে ঢাকায় রিক্সা ধর্মঘটের মাধমে জনজীবনকে অচল করে দেয়।
রিক্সা শ্রমিকদের এই প্রতিবাদ ছিল জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম সংগঠিত প্রতিরোধ। মেট্রোপলিটান রিক্সা মালিক – চালক সমিতির নেপথ্যে থেকে কাজ করছিল খুবই অল্প পরিচিত রাজনৈতিক দল মাহফুজ ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন জনমুক্তি পার্টি। জেনারেল এরশাদ আমলে ঢাকা শহরকে রিক্সা ‘মুক্ত’ করার সামরিক প্রশাসনের উদ্যোগ রিক্সা চালক-মালিকদের আন্দোলনের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়ে ছিল। এই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ডিসিসি রাজধানীর অধিকাংশ রিক্সার লাইসেন্স দিতে বাধ্য হয়েছিল ।
বিশ্ব ব্যাংকের পরিবহন ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ ও রিক্সা উচ্ছেদ বাংলাদেশের শুরুতে বিশ্বব্যাংকের উপস্থিতির খুব একটা হালে পানি পায়নি। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ প্রথমে বিশ্বব্যাংককে দূরে রাখার চেষ্টা করে কিছুটা সফল হয়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতির মেরুকরণে তাজউদ্দীন আহমদ মন্ত্রী সভা থেকে ছিটকে পরার পর থেকেই বিশ্বব্যাংক পেছনের সারি থেকে একেবারে সামনের সারিতে চলে আসে। গত চার দশক ধরে বিশ্ব ব্যাংকের নানান রঙের প্রকল্পে ‘ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট’ এর বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে।
এ প্রকল্পের মূল বিষয় হচ্ছে , রিক্সা উচ্ছেদ করে ঢাকাকে গতিশীল করা এবং পরিবহন ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ করা। বিভিন্ন ‘ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট’ প্রকল্পে মিলিয়ন – মিলিয়ন ডলার অনুদান ঋণ আসছে বিশ্ব ব্যাংকের মত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
রিক্সা চালক : সরল জীবনের জটিল সমীকরন
রিক্সা চালক পেশায় কয়েক লাখ মানুষের জীবন চলে। প্রধানতঃ গ্রামের বেকার, অদক্ষ যুবকরা কাজের সন্ধানে ঢাকা সহ বড় শহর গুলোতে এসে কাজ না পেয়ে রিক্সা চালনাকে কাজ হিসেবে বেঁচে নিতে বাধ্য হয়। বেকার যুবকরা প্রাথমিকভাবে রিক্সা চালক হওয়া কে সাময়িক পেশা হিসেবে নেয়। একজন রিকশাচালককে সর্বনিম্ন ৬ ঘণ্টা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৬ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
ঢাকা শহরে রিক্সার সংখ্যা কত ?
ঢাকা শহরে রিক্সার সংখ্যা কত ? কেউ তা জানে না! বিভিন্ন সংবাদপত্রের মতে , প্রতিদিন ঢাকা শহরে দশ লাখ রিক্সা চলে। কিন্তু সরকারি হিসেবে ঢাকা শহরে লাইসেন্সধারী রিক্সার সংখ্যা মাত্র ৯০হাজারের কম ।
রিক্সা- প্যাডেলের অর্থনীতি
ঢাকায় দশ লাখ রিক্সায় দুই শিফটে অন্তত বিশ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত। প্রতিদিন গড়পড়তা তিন শত টাকা করে আয় করলে প্রতিদিন ৬০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এই অর্থ মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের কাছ থেকেই আসে। এই অর্থের উপরে অন্ততপক্ষে ২০ লাখ পরিবারের এক কোটি মানুষ নির্ভর শীল। রিক্সাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানান অদেখা – অস্বীকৃত পেশা। যেমন রিক্সা চালকদের গ্যারেজ সংযুক্তি বাসস্থান। এই গ্যারেজ সংযুক্তি বাসস্থানগুলোতে রান্না বান্নার কাজে যুক্ত হচ্ছে নারী শ্রমিকেরা। ঢাকা শহরে আরেক ভাসমান পেশা রাস্তার পাশে দোকান খুলে বসা হকারদের নিয়মিত খদ্দের হচ্ছে রিক্সা শ্রমিকরা। হকার অর্থনীতিকে সচল ও মানুষের কর্মসংস্থান রাখতে রিক্সা শ্রমিকদের এই অবদান স্বীকার করে নিতে ‘ ভদ্র সমাজ’ কুন্ঠিত।
গ্রামীণ অর্থনীতিতে রিক্সা
ঢাকা শহরের রিক্সা চালকদের রড় অংশ গ্রামের ভূমিহীন কৃষক, কেউ কেউ প্রান্তিক কৃষক , অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে। জনসংখ্যার বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ প্রতিনিয়ত চাষযোগ্য কৃষি জমিকে সংকুচিত করছে। রিক্সা শ্রমিকদের একটা অংশ যারা বর্গা চাষী ও প্রান্তিক কৃষক তারা রিক্সা আয়ের সঞ্চিত টাকা গ্রামঞ্চলে পরিবারের ভরণপোষণ ও কৃষিতে বিনিয়োগ করে। রিকশা চালকদের রোজগারের টাকায় অলাভজনক কৃষির ভর্তুকি চলে। বর্গা জমির সেচের পানি, সার, লাঙল, বীজ, কীটনাশক, জমির ইজারার মালিকের আগাম পাওনা মত অর্থায়ন হয়ে থাকে বড় শহরে রিক্সা চালকদের বাড়িতে পাঠানো টাকা থেকে।
রিক্সা সহযোগী শিল্প কর্ম সংস্থান
কম করে হলেও রিক্সা একশত বছরের পুরানো স্থানীয় পরিবহন শিল্প। রিক্সা পরিবহনের আগে পিছে জড়িয়ে থাকা লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিগুলো কখনোই শিল্পের মর্যাদা পায়নি। ঢাকায় ১০ লাখ রিক্সা ২ শিফটে, ১৬থেকে ১৮ ঘন্টা চলে। খাদ ও ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় একটি রিক্সা ১৮ ঘন্টা চলার পর প্রতিদিন রিকশার টায়ার, টিউব ,স্পোক এর প্রয়োজনে হয়। শুধু মাত্র টাকার অংকে কত টাকার বেচাকেনা হয়, কত টাকার ভ্যাট দিতে হয়, সেই বিষয়গুলো কখন সামনে আনা হয় না।
চোরাই অর্থনীতির দুধের সাগর
ঢাকার ৯০ ভাগ অবৈধ রিক্সা কি কোনা প্রকার রাজস্ব দিয়েই কিভাবে চলছে ? ‘ অবৈধ ‘ রিক্সা থেকে নিয়মিত টাকা আদায়ের জন্য গড়ে উঠেছে আন্ডারগ্রাউন্ড প্রশাসন। এই প্রশাসন সরকার নিয়ন্ত্রিত নয় , কোটি কোটি টাকার চোরাই অর্থনীতির বাহন। অন্তত ৩০টি সংগঠন ও সমিতি ‘ অবৈধ রিক্সা’ থেকে নিয়মিত অর্থ আদায় করে চলছে। এসব সমিতি বা সংগঠনের পক্ষ থেকে রিক্সাগুলোতে দেয়া হয় কথিত নম্বর প্লেট। একেকটি রিক্সায় এ ধরনের দুই থেকে পাঁচটি করে নেমপ্লেট দেখা যায়।
রিক্সার হিসাব না রাখা নিছক প্রশাসনিক অদক্ষতা নয়। প্রশাসনের স্বেচ্ছা প্রনোদিত অন্ধতের পিছনে লুকিয়ে আছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব- খাজনা-চুরি। রিক্সার সঠিক সংখ্যা নথিপত্রে নথিবদ্ধ হলে রাজস্ব- খাজনা-চুরির সুযোগ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।’ অবৈধ রিক্সার ‘ চোরাই রাজস্ব আদায়ের সাথে সিটি কর্পোরেশন , পুলিশ, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের যোগসাজোগ কোন গোপন বিষয় নয়।
মটর যানের দখলে ঢাকার রাস্তা
ঢাকায় ১৫ ভাগ যাত্রী প্রাইভেট মটর যান ব্যবহার করেন। কিন্তু এই প্রাইভেট মটর যান মোট সড়কের ৭০ ভাগ অংশ দখল করে রাখে। এই পরিসংখান বোঝার জন্য কোন গবেষণাপত্র টেনে বের করার প্রয়োজন নেই। ঢাকার রাস্তায় ৮৫ ভাগ যাত্রী গণপরিবহণ ব্যবহার করেন কিন্তু সড়কের মাত্র ৩০ ভাগ এলাকা ব্যবহারের সুযোগ পান ৮৫ ভাগ যাত্রী গণপরিবহণ যাত্রী।
রিক্সা উচ্ছেদ: বাজার দখলের লড়াই
ঢাকায় প্রতিদিন গড়পড়তায় ১০ লক্ষ রিক্সা দুই শিফটে চলে। প্রতি শিফট ৬ থেকে ১২ ঘন্টার। প্রতি ২৪ ঘন্টায় ২০ লাখ রিক্সা ও ২০ শ্রমিক ঢাকা শহরে কর্মরত। এই হচ্ছে বছরের অন্তত ৩৩০ কর্ম দিবসের চিত্র । একজন রিক্সা চালক প্রতি শিফট গড়পড়তা ১২-১৫ টি যাত্রী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছায়। রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় সোয়া দুই কোটি ট্রিপ (এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানো) তৈরি হয়। অর্থনীতির অংকে মাসিক ৬৫০ কোটি টাকার লেনদেন। রিক্সা যাত্রীদের এই বাজারটা বাস মালিকেরা কব্জা করতে চায়।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিস
ঢাকার রাস্তায় আড়াই লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি চলে। প্রতিবছর গড়ে ২০ হাজার প্রাইভেট কারের লাইসেন্স দিচ্ছে বিআরটিএ। এই প্রাইভেট কারের বড় অংশ এখন উবার ও বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং সার্ভিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ঢাকা শহরে পরিবহন খাতে নানা অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার সুযোগে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ফোনে অ্যাপ ভিত্তিক গাড়ি ও মোটরসাইকেল শেয়ার নেটওয়ার্ক উবার অথবা পাঠাও এর মতো কোম্পানি। বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের বাজার / যাত্রীর বড় অংশই হচ্ছে রিক্সা যাত্রী। বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোর কর্পোরেট প্রভাবের কাছে রিক্সা চালকদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘অবৈধ রিক্সা ‘ থেকে সম্ভাব্য রাজস্ব
ঢাকার দশ লাখ যদি দিনে ৫০ টাকা হিসেবে মাসে ১৫০০টাকা, বছরে ১৮০০ হাজার বিনিময়ে লাইসেন্স দেয়া হয় তবে রিক্সার লাইসেন্স নবায়ন থেকে সিটি কর্পোরেশন বছরে বিশাল অংশের রাজস্ব আয় করতে পারবে। বর্তমানে নানাভাবে রিক্সা মালিকেরা প্রতি রিক্সার জন্য বছরে নূন্যতম ১৫ হাজার টাকা গুনে থাকেন। এই রিক্সা চালকদেরকে মাসে ১০০ হারে বছরে ১২০০টাকার বিনিময়ে চালক লাইসেন্স দেওয়া যেতে পারে।
রিক্সা উচ্ছেদে এর বিকল্প কি
দেশের অধিকাংশ পরিকল্পনাই হয় এক শ্রেণীর ঋণ বাণিজ্য সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে। বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে ঋণবানিজ্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় প্রকল্প শুরু আগে বেশ কিছু সমস্যাকে সামনে নিয়ে আসে। রিক্সা উচ্ছেদ এই পরিকল্পকল্পনাকারিদের রাহু দৃষ্টিতে। ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন নামে ঋণবাণিজ্য সংস্থা এবং ঠিকাদার কোম্পানীগুলো বিগত বছরগুলোতে নানা প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে। তাহলে কি রিক্সা কখনই উচ্ছেদ হবে না? রিক্সার সমস্যা গত চার দশকে তৈরী হয়েছে। রাতারাতি সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। পযায়ক্রমে বিকল্প কর্মসংস্থান করার মধ্য দিয়েই রিক্সার মত সেকেলে ও শতভাগ কায়িক শ্রম ভিত্তিক যানের উচ্ছেদ সম্ভব।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)