সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্মম নির্যাতনে নিহত রায়হানের শরীরে ভোতা অস্ত্রের আঘাতই বেশি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মো. শামসুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মো. শামসুল ইসলাম রায়হানের দ্বিতীয় ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পিবিআই প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ডা. শামসুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় ময়না তদন্তেও প্রথম প্রতিবেদনের সামঞ্জস্য পেয়েছে ফরেনসিক মেডিকেল বোর্ড। এছাড়া অতিরিক্ত আঘাতের কারণেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে এবং ভোতা অস্ত্রের আঘাতই তার শরীরে বেশি জখম।
তিনি বলেন, রায়হানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আগের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে দ্বিতীয়টার সামঞ্জস্য রয়েছে। আঘাতগুলোও একই। লাঠি দিয়ে আঘাত করার বিষয়টিও একই। কেবল কবর থেকে তোলায় হালকা মাংস খসে গেছে।
তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে, সেগুলো আদালত ছাড়া বলা যাবে না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মুহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা কেবল নিয়ম ফলো করার জন্য ময়নাতদন্ত করিয়েছি। আরও গভীরে জানা যাবে ভিসেরা রিপোর্ট এলে।
গত ১১ অক্টোবরের প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর পুলিশের কাছে ও ১৫ অক্টোবর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ২২ অক্টোবর পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
রোববার ভোররাতে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার পর থেকে আকবর পলাতক।
মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশ তদন্ত করছে পিবিআই। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে।
এ ঘটনায় গত সোমবার তিন পুলিশ সদস্য ১৬৪ ধারায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর পুলিশ লাইনে বরখাস্ত থাকা কনস্টেবল টিটুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।